সু চিদের মুক্তি দিতে বলল যুক্তরাষ্ট্র

মায়ানমারের ক্ষমতাশীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর মায়ানমারকে সতর্ক করে সু চির মুক্তি দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স

আটকৃতদের দ্রুত ছেড়ে দিতে দেশটির সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় ভোরের দিকে সু চি, মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও এনএলডির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের আটক করে দেশটির সামরিক বাহিনী। গত নভেম্বরের মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এনএলডি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৈরিতা চরমে পৌঁছে। নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। এসব টানাপোড়েনের মধ্যেই সুচিদের প্রেপ্তার করা হয়। এই খবরের পর পরই কড়া ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, মায়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার বা গণতান্ত্রিক রূপান্তর ব্যাহত করার যেকোন উদ্যোগের বিরোধিতা করে এবং এসব পদক্ষেপ থেকে সরে না এলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে,।’ মায়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে যে শঙ্কা চলছিল তার মধ্যেই সু চিদের গ্রেপ্তারের খবর এলো। গ্রেপ্তার করার পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সু চিদের মুক্তি দিতে বলল যুক্তরাষ্ট্র

মায়ানমারের ক্ষমতাশীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে সামরিক বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর মায়ানমারকে সতর্ক করে সু চির মুক্তি দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স

আটকৃতদের দ্রুত ছেড়ে দিতে দেশটির সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় ভোরের দিকে সু চি, মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও এনএলডির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের আটক করে দেশটির সামরিক বাহিনী। গত নভেম্বরের মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এনএলডি ও দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৈরিতা চরমে পৌঁছে। নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। এসব টানাপোড়েনের মধ্যেই সুচিদের প্রেপ্তার করা হয়। এই খবরের পর পরই কড়া ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, মায়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার বা গণতান্ত্রিক রূপান্তর ব্যাহত করার যেকোন উদ্যোগের বিরোধিতা করে এবং এসব পদক্ষেপ থেকে সরে না এলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে,।’ মায়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে যে শঙ্কা চলছিল তার মধ্যেই সু চিদের গ্রেপ্তারের খবর এলো। গ্রেপ্তার করার পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।