জাগপার নিবন্ধন বাতিল

আরপিও’র শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত রোববার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসিতে নিবন্ধিত হতে হলে প্রথমত- স্বাধীনতার পর থেকে যেকোন নির্বাচনে ন্যূনতম একটি আসন পাওয়া, দ্বিতীয়ত- স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের যেকোন একটিতে অংশগ্রহণ করে, অংশগ্রহণ করা আসনের প্রদত্ত মোট ভোটের পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়া এবং তৃতীয়ত- ন্যূনতম ১০ জেলা ও ৫০ উপজেলায় কমিটিসহ দলের অফিস থাকতে হবে। তবে ২০০৯ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত দলের শর্তে বলা হয়েছে, ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১ জেলা) ও ১০০ উপজেলায় অফিস থাকতে হবে।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হলে জাগপা তৃতীয় ‘ক্যাটাগরি’তে নিবন্ধন নেয়। দলটি ‘হুক্কা’ মার্কা নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ পায়। চলমান পৌরসভা নির্বাচনেও হুক্কা প্রতীকে জাগপার প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।

২০০৯ সালের সংশোধিত আরপিও’র শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৯ জানুয়ারি শুনানি করে ইসি দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। গেজেটে কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী জাগপা নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, শুনানিতে জাগপা স্বীকার করেছে, এক তৃতীয়াংশ জেলা, ১০০ উপজেলা/থানায় তাদের দলীয় কার্যালয় নেই। ১০০টি উপজেলায় ২০০ জন ভোটার সদস্যও তাদের নেই। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এখন আর জাগপা’র দলীয়ভাবে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে না।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মারা যান ২০১৭ সালের ২১ মে। এরপর ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান দলটির সভানেত্রী অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান। পরে তাদের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।

জাগপা নিবন্ধন হারানোর পর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল আর ৩৯টি। এর আগে সংশোধিত আরপিও’র শর্তানুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং জেলা ও উপজেলা দপ্তরের কর্যকারিতা ও অস্তিত্ব পাওয়া না যাওয়ায় ২০১৯ সালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। কোন ধরনের প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় এবং প্রয়োজনীয় শর্তাদি প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৮ সালে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল হয়। আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সর্ব প্রথম ২০১১ সালে নিয়মিত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কারণে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুর ওপর দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি নেই
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
পুলিশের বাধায় পণ্ড সাত কলেজের কর্মসূচি
আত্মগোপনে সেই অস্ত্রধারীকে খুঁজছে পুলিশ
বর্ণমালার মিছিলে সিলেটে ভাষার মাসকে বরণ
ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ ২০ মার্চ
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮৩তম জন্মদিন আজ
গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী
কোর্ট থেকে আদেশের কপি কোম্পানিগঞ্জ থানায় পৌঁছেনি
বিষাক্ত মদপানে ৫ জনের মৃত্যু
প্রতিবাদে ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

জাগপার নিবন্ধন বাতিল

আরপিও’র শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত রোববার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসিতে নিবন্ধিত হতে হলে প্রথমত- স্বাধীনতার পর থেকে যেকোন নির্বাচনে ন্যূনতম একটি আসন পাওয়া, দ্বিতীয়ত- স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের যেকোন একটিতে অংশগ্রহণ করে, অংশগ্রহণ করা আসনের প্রদত্ত মোট ভোটের পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়া এবং তৃতীয়ত- ন্যূনতম ১০ জেলা ও ৫০ উপজেলায় কমিটিসহ দলের অফিস থাকতে হবে। তবে ২০০৯ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত দলের শর্তে বলা হয়েছে, ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১ জেলা) ও ১০০ উপজেলায় অফিস থাকতে হবে।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হলে জাগপা তৃতীয় ‘ক্যাটাগরি’তে নিবন্ধন নেয়। দলটি ‘হুক্কা’ মার্কা নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ পায়। চলমান পৌরসভা নির্বাচনেও হুক্কা প্রতীকে জাগপার প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।

২০০৯ সালের সংশোধিত আরপিও’র শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৯ জানুয়ারি শুনানি করে ইসি দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। গেজেটে কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী জাগপা নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, শুনানিতে জাগপা স্বীকার করেছে, এক তৃতীয়াংশ জেলা, ১০০ উপজেলা/থানায় তাদের দলীয় কার্যালয় নেই। ১০০টি উপজেলায় ২০০ জন ভোটার সদস্যও তাদের নেই। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এখন আর জাগপা’র দলীয়ভাবে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে না।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মারা যান ২০১৭ সালের ২১ মে। এরপর ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান দলটির সভানেত্রী অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান। পরে তাদের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।

জাগপা নিবন্ধন হারানোর পর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল আর ৩৯টি। এর আগে সংশোধিত আরপিও’র শর্তানুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং জেলা ও উপজেলা দপ্তরের কর্যকারিতা ও অস্তিত্ব পাওয়া না যাওয়ায় ২০১৯ সালে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। কোন ধরনের প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় এবং প্রয়োজনীয় শর্তাদি প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৮ সালে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল হয়। আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সর্ব প্রথম ২০১১ সালে নিয়মিত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কারণে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি।