গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৭) এক আদিবাসী কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শনিবার গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামে। সখিনা হাসদা উপজেলার খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামের মৃত চরকা হাসদার মেয়ে। গত রোববার গভীর রাতে কিশোরীকে প্রেমিকসহ ৩ জন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষিতার মা রাণী সরেন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এ ঘটনায় পুলিশ ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে গতকাল তাদেরকেও জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা উপজেলার ঘুঘুরা ভোতরাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মো. লাবু (২৮), আহম্মদ আলীর পুত্র মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের পুত্র মো. ওমর ফারুক (২১)। ধর্ষিতার মায়ের করা ঘোড়াঘাট থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে থেকে তার মেয়ের সঙ্গে লাবু গ্রেপ্তারকৃত লাবুর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে কথা বলতে থাকে। ঘটনার রাত আনুমানিক দেড়টায় আসামি লাবু তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে বাড়ির পাশে আ. রহিমের লিচু বাগানে ডেকে আনে।

ছাত্রী বাড়ির কাউকে না জানিয়ে সরল বিশ্বাসে একাকি লিচু বাগানে যায়। দেখা করে বাড়িতে ফিরে আসার সময় উপরোক্ত আসামিরা মিলে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোর ৫টায় ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বাগানে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানায় ওই ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে তার মা মামলা দায়ের করে। ঘেঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন বলেন, ৩১ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষিতার মা ধর্ষিতাকে নিয়ে থানায় এসে মামলা দায়ের করলে, তাৎক্ষণিক পৃথক পৃথক স্থান থেকে আমরা ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদেরকে গতকাল দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি আমি নিজেই তদন্ত করছি। এই ঘটনার বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা ও এই তিন আসামির কোন সম্পর্ক আছে কিনা! তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। তিনি আরও জানান, ধর্ষিতাকে পরীক্ষা করানোর জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য উভয়ের ডিএনএ টেস্ট করানো হবে।

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুর ওপর দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি নেই
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
পুলিশের বাধায় পণ্ড সাত কলেজের কর্মসূচি
আত্মগোপনে সেই অস্ত্রধারীকে খুঁজছে পুলিশ
বর্ণমালার মিছিলে সিলেটে ভাষার মাসকে বরণ
ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ ২০ মার্চ
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮৩তম জন্মদিন আজ
জাগপার নিবন্ধন বাতিল
কোর্ট থেকে আদেশের কপি কোম্পানিগঞ্জ থানায় পৌঁছেনি
বিষাক্ত মদপানে ৫ জনের মৃত্যু
প্রতিবাদে ট্রাক-ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ঘোড়াঘাটে

গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী

প্রতিনিধি, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৭) এক আদিবাসী কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শনিবার গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামে। সখিনা হাসদা উপজেলার খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামের মৃত চরকা হাসদার মেয়ে। গত রোববার গভীর রাতে কিশোরীকে প্রেমিকসহ ৩ জন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষিতার মা রাণী সরেন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এ ঘটনায় পুলিশ ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে গতকাল তাদেরকেও জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা উপজেলার ঘুঘুরা ভোতরাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মো. লাবু (২৮), আহম্মদ আলীর পুত্র মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও খোদাদাতপুর বাওপুকুর গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের পুত্র মো. ওমর ফারুক (২১)। ধর্ষিতার মায়ের করা ঘোড়াঘাট থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে থেকে তার মেয়ের সঙ্গে লাবু গ্রেপ্তারকৃত লাবুর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে কথা বলতে থাকে। ঘটনার রাত আনুমানিক দেড়টায় আসামি লাবু তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে বাড়ির পাশে আ. রহিমের লিচু বাগানে ডেকে আনে।

ছাত্রী বাড়ির কাউকে না জানিয়ে সরল বিশ্বাসে একাকি লিচু বাগানে যায়। দেখা করে বাড়িতে ফিরে আসার সময় উপরোক্ত আসামিরা মিলে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোর ৫টায় ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বাগানে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানায় ওই ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে তার মা মামলা দায়ের করে। ঘেঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন বলেন, ৩১ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষিতার মা ধর্ষিতাকে নিয়ে থানায় এসে মামলা দায়ের করলে, তাৎক্ষণিক পৃথক পৃথক স্থান থেকে আমরা ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদেরকে গতকাল দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি আমি নিজেই তদন্ত করছি। এই ঘটনার বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা ও এই তিন আসামির কোন সম্পর্ক আছে কিনা! তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। তিনি আরও জানান, ধর্ষিতাকে পরীক্ষা করানোর জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য উভয়ের ডিএনএ টেস্ট করানো হবে।