ইসিকে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে

বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, নানা অনিয়ম আর বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় দফার পৌর নির্বাচন। অন্তত ১০টি পৌরসভায় বিএনপির পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, তৃতীয় দফায় পৌর নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে।

আগের দুই দফার মতো এই পৌর নির্বাচনেও ভোটার সংকট দেখা যায়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের হার ছিল মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেটা দেখে সংশয় দেখা দিয়েছিল যে, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রথম দুই দফার পৌরভোটে ভোটাররা যে আগ্রহ দেখিয়েছেন সেটা এখানেই হোঁচট খেল কিনা। তবে তৃতীয় দফায় পৌর নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব জানিয়েছেন।

পৌর নির্বাচনে সহিংসতা আর অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আগের দুই দফায় সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণে এবার বাড়তি সতর্কতা নেয়ার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বাস্তবে ইসি সহিংসতার রাশ টানতে পারেনি। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা গেলেও তা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। সংঘাত-সহিংসতায় যারা জড়াচ্ছে তারা ইসির তথাকথিত পদক্ষেপে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে বলে মনে হয় না।

ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সব দল ও প্রার্থী যেন নির্বাচনী আইন মেনে চলে-সেটা নিশ্চিত করতে হবে ইসিকে। কেউ নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না গেলে আগামী নির্বাচনগুলোতে গোলযোগ ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ইসিকে এখনই সতর্ক হতে হবে, পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা। নির্বাচনে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ইসিকে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে

বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, নানা অনিয়ম আর বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় দফার পৌর নির্বাচন। অন্তত ১০টি পৌরসভায় বিএনপির পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, তৃতীয় দফায় পৌর নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে।

আগের দুই দফার মতো এই পৌর নির্বাচনেও ভোটার সংকট দেখা যায়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের হার ছিল মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেটা দেখে সংশয় দেখা দিয়েছিল যে, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রথম দুই দফার পৌরভোটে ভোটাররা যে আগ্রহ দেখিয়েছেন সেটা এখানেই হোঁচট খেল কিনা। তবে তৃতীয় দফায় পৌর নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব জানিয়েছেন।

পৌর নির্বাচনে সহিংসতা আর অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আগের দুই দফায় সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণে এবার বাড়তি সতর্কতা নেয়ার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বাস্তবে ইসি সহিংসতার রাশ টানতে পারেনি। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা গেলেও তা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। সংঘাত-সহিংসতায় যারা জড়াচ্ছে তারা ইসির তথাকথিত পদক্ষেপে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে বলে মনে হয় না।

ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সব দল ও প্রার্থী যেন নির্বাচনী আইন মেনে চলে-সেটা নিশ্চিত করতে হবে ইসিকে। কেউ নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না গেলে আগামী নির্বাচনগুলোতে গোলযোগ ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ইসিকে এখনই সতর্ক হতে হবে, পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা। নির্বাচনে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।