ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি নয়, ব্যবস্থাপনা জরুরি

করোনা টিকা নিয়ে জনমনে একদিকে যেমন উদ্দীপনা কাজ করছে অন্যদিকে সংশয়ও রয়েছে। বিশ্বে আবিষ্কৃত কোনো টিকাই এখনও পর্যন্ত শতভাগ কার্যকর নয়। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু একদল কুচক্রী মহল ভ্যাকসিন নিয়ে নানা গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে কিছু মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার বিষয়ে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। এছাড়াও একটি চিহ্নিত মহল ইচ্ছাকৃতভাবে টিকা নিয়ে নানা ভুল ও বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মূলত এর পেছনে রয়েছে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সরকারকে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। টিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিনামূল্যে প্রতিটি মানুষের দেহে তা প্রয়োগ পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে যেহেতু ভ্যাকসিন ব্যতীত আর কোন বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এই টিকা দেয়া হচ্ছে তাই ভীতি না ছড়িয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের এই টিকা গ্রহণ করা উচিত। একইসঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে ভ্যাকসিন নিয়ে ভিত্তিহীন ও নেতিবাচক অপপ্রচার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই সফল হতে পারে এত বড় কর্মযজ্ঞ।

মুশফিকুর রহমান ইমন

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি নয়, ব্যবস্থাপনা জরুরি

করোনা টিকা নিয়ে জনমনে একদিকে যেমন উদ্দীপনা কাজ করছে অন্যদিকে সংশয়ও রয়েছে। বিশ্বে আবিষ্কৃত কোনো টিকাই এখনও পর্যন্ত শতভাগ কার্যকর নয়। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু একদল কুচক্রী মহল ভ্যাকসিন নিয়ে নানা গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে কিছু মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার বিষয়ে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। এছাড়াও একটি চিহ্নিত মহল ইচ্ছাকৃতভাবে টিকা নিয়ে নানা ভুল ও বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মূলত এর পেছনে রয়েছে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সরকারকে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। টিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিনামূল্যে প্রতিটি মানুষের দেহে তা প্রয়োগ পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে যেহেতু ভ্যাকসিন ব্যতীত আর কোন বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এই টিকা দেয়া হচ্ছে তাই ভীতি না ছড়িয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের এই টিকা গ্রহণ করা উচিত। একইসঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে ভ্যাকসিন নিয়ে ভিত্তিহীন ও নেতিবাচক অপপ্রচার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই সফল হতে পারে এত বড় কর্মযজ্ঞ।

মুশফিকুর রহমান ইমন