নির্বাচনী প্রচারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করুন

প্রচারেই প্রসারÑএই চিরন্তন বাণীটা সবার বোধগম্য। কিন্তু যে বোধটা আমাদের কারও জন্মে না তা হলো-এই প্রচার কারো অধিকারে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কি না! দেশে নির্বাচন আসলে চারদিকে প্রচারণার হিড়িক পড়ে যায়। আর এই প্রচার-প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হলো মাইক। একটা সময় ছিল যখন এই মাইকই ছিল একমাত্র মাধ্যম যা দ্বারা পরিচয় থেকে শুরু করে প্রচারণার সবরকম অনুষঙ্গ সম্পন্ন হত।

যুগ পাল্টেছে, দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলের প্রচারণা? এমনকি একজন প্রার্থীকে এখন যতটাই না সরাসরি চিনে, তার চেয়ে বহুগুণ পরিচিতি পাচ্ছে অনলাইন ও টিভি চ্যানেলের প্রচার দ্বারা। অথচ এরপরও পাল্টেনি প্রচারণায় মাইকের ব্যবহার। বরংচ নিত্যনতুন সুর-তাল-লয়ে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা?

কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে সারা দেশের পৌরসভা নির্বাচনও। কিন্তু এই নির্বাচনের ফলে যে কোন এলাকায় প্রায় অর্ধমাস ধরে চলে ইচ্ছামতো মাইকের ব্যবহার। এমনকি তা শুধু কোন মাইকিং নয়, থাকে মুখরোচক ও মনোযোগ নষ্টকারী বিভিন্ন সুর-ছন্দের গানবাজনা ও হরেকরকম কথামালা। স্বাভাবিকভাবেই যা যে কারোরই মনোযোগ নষ্ট করতে যথেষ্ট? এই সময়টাতে কেউ দেখে না এই উচ্চ শব্দে কারও কতটা ক্ষতি হচ্ছে। হাজারো চাকরি প্রার্থীর চাকরির পড়ায় বিঘœতা, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে লাগাতার মাইকের শব্দ, তারমাঝে মারাত্মক শব্দদূষণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে শিক্ষকদের পাঠদানে অসুবিধা, সব যেন মানুষের জীবনকে একরকম অতিষ্ঠ করার মতো। এমন একটা লম্বা সময় ধরে রাতদিন চারদিকে মাইকিং চললে কিভাবে একজন শিক্ষার্থী পড়াই মনোযোগ দেবে, মনোযোগ দিয়ে অন্যকিছু করবে?

যেখানে এত সহজে অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা করা যাচ্ছে, সেখানে মাইক বা অন্যান্য উচ্চাঙ্গ শব্দ যন্ত্র ব্যবহারের কি দরকার? আর একান্তই যদি করতে হয় তাহলে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ে করা হোক। কেননা, দেখা যায় অনেক এলাকায় সকালে রেকর্ডগুলো ছেড়ে দেয়া হয় সেই রাত ১২টা পর্যন্ত চলে? বিষয়টি সত্যিই চরম ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট সবার এ বিষয়ে যথার্থ পদক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘসময়ের এই শব্দদূষণ থেকে দেশের মানুষকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করুন।

মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নির্বাচনী প্রচারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করুন

image

প্রচারেই প্রসারÑএই চিরন্তন বাণীটা সবার বোধগম্য। কিন্তু যে বোধটা আমাদের কারও জন্মে না তা হলো-এই প্রচার কারো অধিকারে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কি না! দেশে নির্বাচন আসলে চারদিকে প্রচারণার হিড়িক পড়ে যায়। আর এই প্রচার-প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হলো মাইক। একটা সময় ছিল যখন এই মাইকই ছিল একমাত্র মাধ্যম যা দ্বারা পরিচয় থেকে শুরু করে প্রচারণার সবরকম অনুষঙ্গ সম্পন্ন হত।

যুগ পাল্টেছে, দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলের প্রচারণা? এমনকি একজন প্রার্থীকে এখন যতটাই না সরাসরি চিনে, তার চেয়ে বহুগুণ পরিচিতি পাচ্ছে অনলাইন ও টিভি চ্যানেলের প্রচার দ্বারা। অথচ এরপরও পাল্টেনি প্রচারণায় মাইকের ব্যবহার। বরংচ নিত্যনতুন সুর-তাল-লয়ে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা?

কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে সারা দেশের পৌরসভা নির্বাচনও। কিন্তু এই নির্বাচনের ফলে যে কোন এলাকায় প্রায় অর্ধমাস ধরে চলে ইচ্ছামতো মাইকের ব্যবহার। এমনকি তা শুধু কোন মাইকিং নয়, থাকে মুখরোচক ও মনোযোগ নষ্টকারী বিভিন্ন সুর-ছন্দের গানবাজনা ও হরেকরকম কথামালা। স্বাভাবিকভাবেই যা যে কারোরই মনোযোগ নষ্ট করতে যথেষ্ট? এই সময়টাতে কেউ দেখে না এই উচ্চ শব্দে কারও কতটা ক্ষতি হচ্ছে। হাজারো চাকরি প্রার্থীর চাকরির পড়ায় বিঘœতা, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে লাগাতার মাইকের শব্দ, তারমাঝে মারাত্মক শব্দদূষণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে শিক্ষকদের পাঠদানে অসুবিধা, সব যেন মানুষের জীবনকে একরকম অতিষ্ঠ করার মতো। এমন একটা লম্বা সময় ধরে রাতদিন চারদিকে মাইকিং চললে কিভাবে একজন শিক্ষার্থী পড়াই মনোযোগ দেবে, মনোযোগ দিয়ে অন্যকিছু করবে?

যেখানে এত সহজে অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা করা যাচ্ছে, সেখানে মাইক বা অন্যান্য উচ্চাঙ্গ শব্দ যন্ত্র ব্যবহারের কি দরকার? আর একান্তই যদি করতে হয় তাহলে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ে করা হোক। কেননা, দেখা যায় অনেক এলাকায় সকালে রেকর্ডগুলো ছেড়ে দেয়া হয় সেই রাত ১২টা পর্যন্ত চলে? বিষয়টি সত্যিই চরম ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট সবার এ বিষয়ে যথার্থ পদক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘসময়ের এই শব্দদূষণ থেকে দেশের মানুষকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করুন।

মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন