সব জেলায় শিল্পমেলা করতে চায় বিসিক

করোনায় প্রান্তিক শিল্প উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি কমানোর উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় শিল্পমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এজন্য সম্প্রতি প্রতিটি জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বিসিক জানিয়েছে, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। এ কারণে তারা নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ৭৯টি বিসিক শিল্পনগরী রয়েছে। এরমধ্যে শিল্প প্লট সংখ্যা ১০ হাজার ৯২২টি, যেখানে ৫ হাজার ৮৮৫টি শিল্প ইউনিট গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে বর্তমানে চলমান শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭০টি। এ খাতে গত দশ মাস যাবত ব্যবসা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াতে বিসিকের উদ্যোক্তারাও কারখানার ভাড়া, শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন, উপযোগ ব্যয় মেটাতে হিমসিম খাচ্ছেন। মার্চ থেকে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত প্রচুর কারখানা বন্ধ থাকলেও এখন সে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তারপরও এখন পর্যন্ত বেশকিছু কারখানার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিসিকের উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজারজাতকরণে এ মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় মেলার আয় থেকে ব্যয় পরিশোধের মাধ্যমে এসব মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। শীঘ্রই এসব মেলা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিসিক।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সব জেলায় শিল্পমেলা করতে চায় বিসিক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনায় প্রান্তিক শিল্প উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি কমানোর উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় শিল্পমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এজন্য সম্প্রতি প্রতিটি জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বিসিক জানিয়েছে, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। এ কারণে তারা নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ৭৯টি বিসিক শিল্পনগরী রয়েছে। এরমধ্যে শিল্প প্লট সংখ্যা ১০ হাজার ৯২২টি, যেখানে ৫ হাজার ৮৮৫টি শিল্প ইউনিট গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে বর্তমানে চলমান শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭০টি। এ খাতে গত দশ মাস যাবত ব্যবসা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াতে বিসিকের উদ্যোক্তারাও কারখানার ভাড়া, শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন, উপযোগ ব্যয় মেটাতে হিমসিম খাচ্ছেন। মার্চ থেকে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত প্রচুর কারখানা বন্ধ থাকলেও এখন সে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তারপরও এখন পর্যন্ত বেশকিছু কারখানার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিসিকের উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজারজাতকরণে এ মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় মেলার আয় থেকে ব্যয় পরিশোধের মাধ্যমে এসব মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। শীঘ্রই এসব মেলা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিসিক।