দুই মাসে ভিটেহারা ৩০ পরিবার, বিলীন ১০০ বিঘা জমি
শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দু’মাসে প্রায় ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ১শ বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে যমুনা গর্ভে । এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিনটি গ্রামের মানুষ ।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজলার ভাঙ্গন কবলিত পাঁচঠাকুরী, বালিঘুগরী এবং বাহুকা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরে প্রচন্ড শ্রোত বইছে এবং বড় বড় ফাটল ধরেছে। বালিঘুগরী পয়েন্টে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুটি মসজিদ, একটি মাদ্রসা ঈদগাহ মাঠ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আবু সাইদ (৬৮)জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদী তীরে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন আর তার ফসলি জমি যমুনা গর্ভে বিলীনের দৃশ্য দেখে চোখের পানি ফেলেন।
তিনি জানান, শুকনা মওসুমে এই অঞ্চলে নদীতে শ্রোত সৃষ্টি হওয়ার দৃশ্য ইতোপূর্বে কমই দেখেছেন। গত দু’মাসে ৩টি গ্রামের অন্তত ৩০ পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে এবং ১শ বিঘা ফসলি জমি ধসে পড়েছে। অনেক আশা নিয়ে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম কিন্তু এলাকার কৃষকগণ সকলের চোখের সামনেই নদীতে ধসে পড়েছে। এলাকাবাসী জনান, এই এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রায় প্রতিদিন সার্ভে করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী এই এলাকা রক্ষায় ক্রসবার নির্মাণ করার জন্য তাদরে দাবি জানিযেছে। তারা বলেন, উজানে একটি ক্রসবার রয়েছে। সেই ক্রসবারের কারণে বেশ কয়েকটি মৌজা ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে। বালিঘুগরী এলাকাবাসীও এ ধরনের ক্রসবারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৫৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অতিশীঘ্রই তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। তবে এলাকাবাসীর দাবি ওই এলাকায় একটি ক্রসবার নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধ কারার। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এই এলাকায় ভাঙ্গন রোধে জরুরিভাবে একটি ক্রসবার নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ইতোমধ্যেই।
শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
দুই মাসে ভিটেহারা ৩০ পরিবার, বিলীন ১০০ বিঘা জমি
আব্দুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ
শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দু’মাসে প্রায় ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ১শ বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে যমুনা গর্ভে । এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিনটি গ্রামের মানুষ ।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজলার ভাঙ্গন কবলিত পাঁচঠাকুরী, বালিঘুগরী এবং বাহুকা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরে প্রচন্ড শ্রোত বইছে এবং বড় বড় ফাটল ধরেছে। বালিঘুগরী পয়েন্টে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুটি মসজিদ, একটি মাদ্রসা ঈদগাহ মাঠ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আবু সাইদ (৬৮)জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদী তীরে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন আর তার ফসলি জমি যমুনা গর্ভে বিলীনের দৃশ্য দেখে চোখের পানি ফেলেন।
তিনি জানান, শুকনা মওসুমে এই অঞ্চলে নদীতে শ্রোত সৃষ্টি হওয়ার দৃশ্য ইতোপূর্বে কমই দেখেছেন। গত দু’মাসে ৩টি গ্রামের অন্তত ৩০ পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে এবং ১শ বিঘা ফসলি জমি ধসে পড়েছে। অনেক আশা নিয়ে বোরো ধান রোপণ করেছিলাম কিন্তু এলাকার কৃষকগণ সকলের চোখের সামনেই নদীতে ধসে পড়েছে। এলাকাবাসী জনান, এই এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রায় প্রতিদিন সার্ভে করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী এই এলাকা রক্ষায় ক্রসবার নির্মাণ করার জন্য তাদরে দাবি জানিযেছে। তারা বলেন, উজানে একটি ক্রসবার রয়েছে। সেই ক্রসবারের কারণে বেশ কয়েকটি মৌজা ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে। বালিঘুগরী এলাকাবাসীও এ ধরনের ক্রসবারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৫৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অতিশীঘ্রই তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। তবে এলাকাবাসীর দাবি ওই এলাকায় একটি ক্রসবার নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধ কারার। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এই এলাকায় ভাঙ্গন রোধে জরুরিভাবে একটি ক্রসবার নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ইতোমধ্যেই।