মুন্সীগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীদের ভলগেটের ধাক্কায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। ধলেশ্বরীর তীর ঘেঁষে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলছে বালু ও ইট ব্যবসা। ভলগেট দিয়ে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে উঠা নামা করছে বালু-ইট। ভলগেটের ধাক্কায় রেড়িবাঁধ পাথর সরে পড়ছে। এতে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে শহরবেষ্টিত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে। অথচ নীরব ভূমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অপরদিকে বাতাসে উড়ন্ত বালুর কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ফরাজী বাড়ির ঘাট থেকে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ হয়ে ফিরিঙ্গীবাজার বেড়িবাঁধ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩৫টি ইট-বালুর ব্যবসা। ইয়াজ উদ্দিন কলেজ থেকে মিরেশ্বর কবরস্থানের পাশে কয়েকটি বালগেট থেকে ইট-বালু আনলোড করা হচ্ছে। ভলগেটগুলো শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ ঘেঁষে নোঙ্গর করায় অনেকস্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা হওয়া হুমকির মুখে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ। এছাড়াও ইট-বালু উঠা নামা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে জেটি। এতে দখল হচ্ছে নদীর পাড়। এতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে শহররক্ষা বেড়িবাঁধ।
ইট বালু ব্যবসায়ী মেসার্স আদিবা ট্রেডার্স এর মালিক মো. জাহিদ হাসান বলেন, আমরা নদী থেকে নৌকা ভিড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে ইট-বালু নৌকা থেকে নামাই এতে বেড়িবাঁধের কোন ক্ষতি হয় না। ইট-বালু আনলোড করার সময় বালগেট বেড়িবাঁধ থেকে ২০ ফিট দূরে থাকে। এতে বেড়িবাঁধ নষ্ট হওয়ার কোন কারণ থাকে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র সংকর চক্রবর্তী, বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি এবং সারাদিন আজকে ঘুরেছি বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন ৮৯ লক্ষ টাকা বাজেট অনুযায়ী সাড়ে নয় হাজার সিসি ব্লক দিয়ে কাজ চলছে এবং মানুষের নদীর পাড়ে উঠা নামার জন্য দুইটি সিঁড়ি করে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীদের ভলগেটের ধাক্কায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। ধলেশ্বরীর তীর ঘেঁষে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলছে বালু ও ইট ব্যবসা। ভলগেট দিয়ে বেড়িবাঁধ ঘেঁষে উঠা নামা করছে বালু-ইট। ভলগেটের ধাক্কায় রেড়িবাঁধ পাথর সরে পড়ছে। এতে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে শহরবেষ্টিত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে। অথচ নীরব ভূমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অপরদিকে বাতাসে উড়ন্ত বালুর কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ফরাজী বাড়ির ঘাট থেকে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ হয়ে ফিরিঙ্গীবাজার বেড়িবাঁধ ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩৫টি ইট-বালুর ব্যবসা। ইয়াজ উদ্দিন কলেজ থেকে মিরেশ্বর কবরস্থানের পাশে কয়েকটি বালগেট থেকে ইট-বালু আনলোড করা হচ্ছে। ভলগেটগুলো শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ ঘেঁষে নোঙ্গর করায় অনেকস্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা হওয়া হুমকির মুখে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ। এছাড়াও ইট-বালু উঠা নামা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে জেটি। এতে দখল হচ্ছে নদীর পাড়। এতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে শহররক্ষা বেড়িবাঁধ।
ইট বালু ব্যবসায়ী মেসার্স আদিবা ট্রেডার্স এর মালিক মো. জাহিদ হাসান বলেন, আমরা নদী থেকে নৌকা ভিড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে ইট-বালু নৌকা থেকে নামাই এতে বেড়িবাঁধের কোন ক্ষতি হয় না। ইট-বালু আনলোড করার সময় বালগেট বেড়িবাঁধ থেকে ২০ ফিট দূরে থাকে। এতে বেড়িবাঁধ নষ্ট হওয়ার কোন কারণ থাকে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র সংকর চক্রবর্তী, বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি এবং সারাদিন আজকে ঘুরেছি বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন ৮৯ লক্ষ টাকা বাজেট অনুযায়ী সাড়ে নয় হাজার সিসি ব্লক দিয়ে কাজ চলছে এবং মানুষের নদীর পাড়ে উঠা নামার জন্য দুইটি সিঁড়ি করে দেয়া হচ্ছে।