অবিরন বেগম। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। অভাবের সংসারে এক প্রতিবন্ধী ছেলে ঢাকায় ভিক্ষা করে পেট চালান। তিনি ১০ বছর থেকে একাই তার নিজ বাড়িতে থাকেন। অনেক চেষ্টা করেছেন একটি বয়স্কভাতার কার্ড পেতে। কিন্তু অবিরন বেগমের ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার সেই কার্ড বা সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। অবিরন বেগমের একটিই প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবেন। অবিরন বেগম এর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তাম্বুলপুর গ্রামে। তার দুটি প্রতিবন্ধী ছেলে ও একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে অনেক আগেই মৃত্যু বরণ করেন। আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী সে ঢাকায় দীর্ঘদিন থেকে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন। প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে হয়েছে এক আধ পাগলের সঙ্গে তারা তাদের নিজেদের খাবার জোটাতে পারে না।
অবিরন বেগম আরও বলেন, তিনি কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতার জন্য অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও সাবেক ইউপি সদস্যের কাছেও গিয়েছিলেন একাধিকবার। কেউ তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেননি। এত ঘুরেও ভাতার কার্ড না পেয়ে শেষ বয়সে তিনি হতাশ। তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাতার কার্ডের দাবি জানান। তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সাদেক হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনেকে আসে আমার নিকট, আমি তাদের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে বলেছি। এ ব্যাপারে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির রবু সর্দার এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ৮৩ বয়সেও বয়স্কভাতা না পাওয়ার জন্য ইউনিয়ন যাচাই-বাছাই কমিটি দায়ী। আপনি তাকে আমার অফিসে আসেতে বলেন, সুবিধামতো আমি তাকে বয়স্কভাতা করে দেব।
শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, পীরগাছা (রংপুর)
অবিরন বেগম। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। অভাবের সংসারে এক প্রতিবন্ধী ছেলে ঢাকায় ভিক্ষা করে পেট চালান। তিনি ১০ বছর থেকে একাই তার নিজ বাড়িতে থাকেন। অনেক চেষ্টা করেছেন একটি বয়স্কভাতার কার্ড পেতে। কিন্তু অবিরন বেগমের ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার সেই কার্ড বা সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। অবিরন বেগমের একটিই প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবেন। অবিরন বেগম এর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তাম্বুলপুর গ্রামে। তার দুটি প্রতিবন্ধী ছেলে ও একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে অনেক আগেই মৃত্যু বরণ করেন। আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী সে ঢাকায় দীর্ঘদিন থেকে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেন। প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে হয়েছে এক আধ পাগলের সঙ্গে তারা তাদের নিজেদের খাবার জোটাতে পারে না।
অবিরন বেগম আরও বলেন, তিনি কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতার জন্য অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও সাবেক ইউপি সদস্যের কাছেও গিয়েছিলেন একাধিকবার। কেউ তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেননি। এত ঘুরেও ভাতার কার্ড না পেয়ে শেষ বয়সে তিনি হতাশ। তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাতার কার্ডের দাবি জানান। তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সাদেক হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনেকে আসে আমার নিকট, আমি তাদের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে বলেছি। এ ব্যাপারে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির রবু সর্দার এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ৮৩ বয়সেও বয়স্কভাতা না পাওয়ার জন্য ইউনিয়ন যাচাই-বাছাই কমিটি দায়ী। আপনি তাকে আমার অফিসে আসেতে বলেন, সুবিধামতো আমি তাকে বয়স্কভাতা করে দেব।