কিশোরগঞ্জে খেলা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল হককে খুনের মামলায় ছেলে মানিক মিয়ার (৩৫) মৃত্যুদন্ড ও বাবা নূরুল করিমের (৬১) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে উভয়কে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। নিহত আমিনুল হক ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহেষকুড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মানিক মিয়া ও নূরুল করিমের বাড়ি হোসেনপুরের জিনারি গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় বাবা নূরুল করিম কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও ছেলে মানিক মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খেলাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়ার সঙ্গে মহেষকুড়া আলিম মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ মৌলানা আমিনুল হকের ছেলে রক্সি পার্শ্ববর্তী হোসেনপুরের গাবরগাঁও গ্রাম থেকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে নূরুল করিম তাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে বাড়িতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ আমিনুল হক মোটরসাইকেলে চড়ে আসামিদের বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র নূরুল করিমের নির্দেশে ছেলে মানিক মিয়া অপর কয়েকজনকে নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়, বুকে ছুরিকাঘাত করে। এর তিনদিন পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনুল হক মারা যান।
শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে খেলা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল হককে খুনের মামলায় ছেলে মানিক মিয়ার (৩৫) মৃত্যুদন্ড ও বাবা নূরুল করিমের (৬১) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে উভয়কে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন। নিহত আমিনুল হক ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহেষকুড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মানিক মিয়া ও নূরুল করিমের বাড়ি হোসেনপুরের জিনারি গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় বাবা নূরুল করিম কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও ছেলে মানিক মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খেলাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়ার সঙ্গে মহেষকুড়া আলিম মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ মৌলানা আমিনুল হকের ছেলে রক্সি পার্শ্ববর্তী হোসেনপুরের গাবরগাঁও গ্রাম থেকে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে নূরুল করিম তাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করে বাড়িতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ আমিনুল হক মোটরসাইকেলে চড়ে আসামিদের বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র নূরুল করিমের নির্দেশে ছেলে মানিক মিয়া অপর কয়েকজনকে নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়, বুকে ছুরিকাঘাত করে। এর তিনদিন পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনুল হক মারা যান।