আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল গত বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে আরিচা-কাজীর হাট ফেরি ঘাট। আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি ঘাট প্রস্তুত শেষে পরীক্ষামূলকভাবে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের একটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পর আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলাসহ ১৭টি জেলার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এক সময় আরিচা ঘাটকে দেশের নাভী বলা হতো। কিন্ত আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঐতিহ্য আরিচা ঘাট শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এ নৌ-রুট দিয়ে এক সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা ও উত্তরাঞ্চলের ৩৬ জেলার মানুষের যাতায়াত ছিল এবং এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে ঢাকা রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের ৩৬ জেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেত।
কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ ভুয়াপুর যমুনা সেতু হওয়ার পর শিবালয়ের আরিচা ঘাটের গুরুত্ব বা যানবাহনের চাপ অনেক কমে যায়। ফলে পরের বছর ১৯৯৮ সালে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। ২০০২ সালে ১২ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের নৌ-রুটের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার কমানো ও যাত্রীরা দ্রুত গৌন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট চালু করা হয়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আরিচা ঘাটের গুরুত্ব একেবারে কমে যায়। কোলাহল শূন্য হয়ে পড়ে আরিচা ঘাট।
আরিচা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিদর্শক ফরিদুল ইসলাম জানান, আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুট স্বচল করতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্পোরেশন বিআইডব্লিউটির আরিচা অফিসের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, এ নৌ-রুটে ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। গত বুধবার বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর সাদেকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা আরিচা ও কাজীরহাট ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল গত বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে আরিচা-কাজীর হাট ফেরি ঘাট। আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি ঘাট প্রস্তুত শেষে পরীক্ষামূলকভাবে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের একটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পর আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলাসহ ১৭টি জেলার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এক সময় আরিচা ঘাটকে দেশের নাভী বলা হতো। কিন্ত আরিচা-কাজীর হাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঐতিহ্য আরিচা ঘাট শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এ নৌ-রুট দিয়ে এক সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা ও উত্তরাঞ্চলের ৩৬ জেলার মানুষের যাতায়াত ছিল এবং এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে ঢাকা রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের ৩৬ জেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেত।
কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ ভুয়াপুর যমুনা সেতু হওয়ার পর শিবালয়ের আরিচা ঘাটের গুরুত্ব বা যানবাহনের চাপ অনেক কমে যায়। ফলে পরের বছর ১৯৯৮ সালে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। ২০০২ সালে ১২ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের নৌ-রুটের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার কমানো ও যাত্রীরা দ্রুত গৌন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট চালু করা হয়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আরিচা ঘাটের গুরুত্ব একেবারে কমে যায়। কোলাহল শূন্য হয়ে পড়ে আরিচা ঘাট।
আরিচা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিদর্শক ফরিদুল ইসলাম জানান, আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুট স্বচল করতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্পোরেশন বিআইডব্লিউটির আরিচা অফিসের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, এ নৌ-রুটে ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। গত বুধবার বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর সাদেকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা আরিচা ও কাজীরহাট ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন।