ধুলার দূষণ হাইকোর্টের ৩ দফা নির্দেশনা

ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনে যুক্ত হওয়া সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তিন দফা নির্দেশনা হলো :

১. ঢাকা শহরের প্রবেশমুখ-গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২. ঢাকা শহরের রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে হবে, যেন রাস্তার পাশের ছোটো খাটো গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩. শহরে পানি ছিটানোর ক্ষেত্রে পানির ঘাটতি তৈরি হলে সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে হবে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আদালতে হলফনামা দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ওই রিটের সঙ্গে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশনা দেয়া হলো।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ধুলার দূষণ হাইকোর্টের ৩ দফা নির্দেশনা

আদালত বার্তা পরিবেশক

image

ধূলিবালিপূর্ণ রাজধানীর সড়ক চিত্র -সোহরাব আলম

ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনে যুক্ত হওয়া সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তিন দফা নির্দেশনা হলো :

১. ঢাকা শহরের প্রবেশমুখ-গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২. ঢাকা শহরের রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে হবে, যেন রাস্তার পাশের ছোটো খাটো গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩. শহরে পানি ছিটানোর ক্ষেত্রে পানির ঘাটতি তৈরি হলে সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে হবে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আদালতে হলফনামা দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ওই রিটের সঙ্গে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশনা দেয়া হলো।