ঢাবিতে আর্থিক অনিয়ম

টাকা আদায়ের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভবনে বসবাসরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে বাসা ভাড়া কাটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ অডিট আপত্তি সুরাহার জন্য একটি কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩৭ ও ৩৮তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-২০১৩ অর্থবছর এবং ঢাবি’র ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ২০০০-২০১৩ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১৩-২০১৪-এ অন্তর্ভুক্ত ৭টি অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ নিয়ে আলোচনা হয়। রিপোর্টে ৭টি আপত্তিকৃত অর্থের পরিমাণ ৭ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ টাকা। বৈঠকে অডিট আপত্তির আলোচিত অনুচ্ছেদ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ এর সমুদয় অর্থ কমিটি গঠন করে আদায় করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আবদুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), ওয়াসিকা আয়শা খান এবং মো. জাহিদুর রহমান অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাসা ভাড়ার অডিট আপত্তির বিষয়টি সুরাহার জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি, গণপূর্তের যুগ্ম সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও অডিট দপ্তরের একজন পরিচালককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেবে সরকারি হিসাব কমিটি।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, নিয়ম না থাকার পরেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়কর প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। অডিট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিধিগত সুযোগ না থাকার পরেও এমন আয়কর পরিশোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘন এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। ওই আর্থিক অনিয়মের জন্য এক কোটি ৭০ লাখ তিন হাজার ৭৮১ টাকার অডিট আপত্তি দিয়েছে হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। আয়কর পরিশোধ বাবদ সরকারি অর্থের ক্ষতি মেটানোর জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে টাকা কেটে নিতে বলেছে সংসদীয় হিসাব কমিটি।

এদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের এক কোটি ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৬ টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ওই ভাতা রহিত করলেও তা দেয়া হয়। এজন্য ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় হিসাব কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার ভাড়া, পরিশোধিত বিল এবং মুদ্রণ বিলের ওপর ভ্যাট আদায় না করায় এবং আদায় করেও তা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় ৫১ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৩ টাকা আর্থিক ক্ষতির কথা বলেছে অটিড দপ্তর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চার মাসের মধ্যে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষককে ঢালাওভাবে ৫০০ ও ৭৫০ টাকা করে প্রতি মাসে গবেষণা ভাতা দেয়। জাতীয় বেতন স্কেলে এ রকম কোন খাত না থাকায় এ বিষয়ে অডিটে আপত্তি দেয়া হয়। এতে মোট এক কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জড়িত। এই অডিট আপত্তির বিষয়ে অডিট দপ্তর বলেছে, যারা গবেষণা করছে তাদের নীতিমালার মাধ্যমে এই ভাতা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে দেয়ার সুযোগ নেই। সরকারি হিসাব কমিটি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করেছে। একইসঙ্গে বিধি বহির্ভূতভাবে দেয়া অর্থ আদায় করতে বলা হয়েছে।

২০১২-১৩ অর্থবছরের হিসাব পরীক্ষা করে অডিট দপ্তর পেয়েছে, ১৪ জন শিক্ষক শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেও পাওনা টাকা আদায় করেনি। তাদের কাছ থেকে ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা দ্রুত আদায়ের সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পেশাগত জ্ঞানের বিপরিতে এবং ঠিকাদারি বিল হতে উৎসে আয়কর না কাটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে বলে অডিট আপত্তি দিয়েছে অডিট দপ্তর। এর সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৮০ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ টাকা। কমিটি এই টাকা দ্রুত আদায় করার সুপারিশ করেছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অডিট আপত্তির মধ্য থেকে ত্রিপক্ষীয় সভা এবং বিএস জবাবের ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশকৃত সর্বমোট ২৪৯টি (আংশিক-১১৮, পূর্ণাঙ্গ-১২৮ এবং আপত্তি বহাল রেখে দায় থেকে অব্যাহতি-০৩) নিরীক্ষা আপত্তি বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন গ্রহণ করে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি উপস্থাপন করা হয়।

২৪৯টি আপত্তিতে সর্বমোট জড়িত অর্থের পরিমাণ ১৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। উক্ত আপত্তিসমূহের ক্ষেত্রে আপত্তিকৃত অর্থ আদায়, সমন্বয়, অবলোপন/প্রমার্জন, নিয়মিতকরণজনিত নিষ্পত্তি এবং ভূতাপেক্ষ অনুমোদন/কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও সন্তোষজনক জবাব বিবেচনায় নিয়ে আপত্তিসমূহ নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ঢাবিতে আর্থিক অনিয়ম

টাকা আদায়ের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভবনে বসবাসরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে বাসা ভাড়া কাটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ অডিট আপত্তি সুরাহার জন্য একটি কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩৭ ও ৩৮তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-২০১৩ অর্থবছর এবং ঢাবি’র ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ২০০০-২০১৩ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১৩-২০১৪-এ অন্তর্ভুক্ত ৭টি অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ নিয়ে আলোচনা হয়। রিপোর্টে ৭টি আপত্তিকৃত অর্থের পরিমাণ ৭ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ টাকা। বৈঠকে অডিট আপত্তির আলোচিত অনুচ্ছেদ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ এর সমুদয় অর্থ কমিটি গঠন করে আদায় করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আবদুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), ওয়াসিকা আয়শা খান এবং মো. জাহিদুর রহমান অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাসা ভাড়ার অডিট আপত্তির বিষয়টি সুরাহার জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি, গণপূর্তের যুগ্ম সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও অডিট দপ্তরের একজন পরিচালককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেবে সরকারি হিসাব কমিটি।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, নিয়ম না থাকার পরেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়কর প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। অডিট দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিধিগত সুযোগ না থাকার পরেও এমন আয়কর পরিশোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘন এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। ওই আর্থিক অনিয়মের জন্য এক কোটি ৭০ লাখ তিন হাজার ৭৮১ টাকার অডিট আপত্তি দিয়েছে হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। আয়কর পরিশোধ বাবদ সরকারি অর্থের ক্ষতি মেটানোর জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে টাকা কেটে নিতে বলেছে সংসদীয় হিসাব কমিটি।

এদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের এক কোটি ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৬ টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ওই ভাতা রহিত করলেও তা দেয়া হয়। এজন্য ভাতা প্রাপ্তদের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় হিসাব কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার ভাড়া, পরিশোধিত বিল এবং মুদ্রণ বিলের ওপর ভ্যাট আদায় না করায় এবং আদায় করেও তা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় ৫১ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৩ টাকা আর্থিক ক্ষতির কথা বলেছে অটিড দপ্তর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চার মাসের মধ্যে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষককে ঢালাওভাবে ৫০০ ও ৭৫০ টাকা করে প্রতি মাসে গবেষণা ভাতা দেয়। জাতীয় বেতন স্কেলে এ রকম কোন খাত না থাকায় এ বিষয়ে অডিটে আপত্তি দেয়া হয়। এতে মোট এক কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জড়িত। এই অডিট আপত্তির বিষয়ে অডিট দপ্তর বলেছে, যারা গবেষণা করছে তাদের নীতিমালার মাধ্যমে এই ভাতা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে দেয়ার সুযোগ নেই। সরকারি হিসাব কমিটি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করেছে। একইসঙ্গে বিধি বহির্ভূতভাবে দেয়া অর্থ আদায় করতে বলা হয়েছে।

২০১২-১৩ অর্থবছরের হিসাব পরীক্ষা করে অডিট দপ্তর পেয়েছে, ১৪ জন শিক্ষক শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরত আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেও পাওনা টাকা আদায় করেনি। তাদের কাছ থেকে ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা দ্রুত আদায়ের সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পেশাগত জ্ঞানের বিপরিতে এবং ঠিকাদারি বিল হতে উৎসে আয়কর না কাটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে বলে অডিট আপত্তি দিয়েছে অডিট দপ্তর। এর সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৮০ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ টাকা। কমিটি এই টাকা দ্রুত আদায় করার সুপারিশ করেছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অডিট আপত্তির মধ্য থেকে ত্রিপক্ষীয় সভা এবং বিএস জবাবের ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশকৃত সর্বমোট ২৪৯টি (আংশিক-১১৮, পূর্ণাঙ্গ-১২৮ এবং আপত্তি বহাল রেখে দায় থেকে অব্যাহতি-০৩) নিরীক্ষা আপত্তি বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন গ্রহণ করে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি উপস্থাপন করা হয়।

২৪৯টি আপত্তিতে সর্বমোট জড়িত অর্থের পরিমাণ ১৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। উক্ত আপত্তিসমূহের ক্ষেত্রে আপত্তিকৃত অর্থ আদায়, সমন্বয়, অবলোপন/প্রমার্জন, নিয়মিতকরণজনিত নিষ্পত্তি এবং ভূতাপেক্ষ অনুমোদন/কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও সন্তোষজনক জবাব বিবেচনায় নিয়ে আপত্তিসমূহ নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।