ধর্ষণ মামলায় সহকারী স্টেশন মাস্টার গ্রেপ্তার

ধর্ষণ মামলায় রাজশাহী রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মঈন উদ্দিন ওরফে আজাদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি নগরের শিরোইল এলাকায়।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক গৃহবধূ।

মামলার এজাহারে তিনি উল্ল্যেখ করেন, ট্রেনে যাতায়াতের সূত্র ধরেই ওই স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর সখ্য থেকে রেলওয়েতে চাকরির দেয়ার প্রস্তাব করেন আজাদ। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হতে থাকে। আজাদ ওই নারীকে জানান, চাকরির জন্য ঘুষ হিসেবে আট লাখ টাকা লাগবে। তিনি আগাম দুই লাখ টাকাও নিয়েছিলেন। পরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির বই দেয়ার নামে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন মঈন উদ্দিন আজাদ। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে জানালে বড় ধরনের ক্ষতির হুমকিও দেন তিনি। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজাদকে বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, মহানগরীর শিরোইল কলোনির এক গৃহবধূর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন আজাদকে (৪২) গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পদে কর্মরত। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

ধর্ষণ মামলায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বোয়ালিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রাজশাহীতে

ধর্ষণ মামলায় সহকারী স্টেশন মাস্টার গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

ধর্ষণ মামলায় রাজশাহী রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মঈন উদ্দিন ওরফে আজাদকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি নগরের শিরোইল এলাকায়।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক গৃহবধূ।

মামলার এজাহারে তিনি উল্ল্যেখ করেন, ট্রেনে যাতায়াতের সূত্র ধরেই ওই স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর সখ্য থেকে রেলওয়েতে চাকরির দেয়ার প্রস্তাব করেন আজাদ। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হতে থাকে। আজাদ ওই নারীকে জানান, চাকরির জন্য ঘুষ হিসেবে আট লাখ টাকা লাগবে। তিনি আগাম দুই লাখ টাকাও নিয়েছিলেন। পরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির বই দেয়ার নামে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন মঈন উদ্দিন আজাদ। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে জানালে বড় ধরনের ক্ষতির হুমকিও দেন তিনি। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজাদকে বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, মহানগরীর শিরোইল কলোনির এক গৃহবধূর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন আজাদকে (৪২) গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পদে কর্মরত। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

ধর্ষণ মামলায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বোয়ালিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।