চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় এক যুবককে মত্যুদণ্ড এবং তার মা ও বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। দণ্ডিতরা হলেন- মো. আজম এবং তার মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহার। ঘটনার সময় ২০০৯ সালে ২১ বছরের যুবক ছিলেন আজম, ফরিদার বয়স ছিল ৫৫ এবং কামরুন নাহারের বয়স ছিল ২৫ বছর। ১১ বছর আগে জমির বিরোধে প্রতিবেশীকে গলাকেটে হত্যায় অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গতকাল চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের পরপর আজম ও তার বাবা রাজ্জাক পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ফরিদা ও কামরুন নাহারকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ মামলার অন্য আসামি আজমের বাবা আবদুর রাজ্জাক বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আজম পলাতক। তার মা ও বোন আগে আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। আসামিরা ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী আবদুস সালামকে গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় সালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে আজম, তারা বাবা আবদুর রাজ্জাক, মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত করে ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। ঘটনার বিবরণে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লোকমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাত দিন আগে আবদুস সালাম দেশে ফেরেন। ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর সকালে সালাম তার বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া গোয়ালঘর ঠিক করছিলেন। এ সময় আজম, তার বাবা-মা ও বোন বাধা দেন। দুপুরে সালাম স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আসামিরা তার ঘরে ঢোকে। সালামকে মাটিতে ফেলে রাজ্জাক মাথা চেপে ধরেন, ফরিদা ও কামরুন নাহার তার হাত-পা চেপে ধরেন, আর আজম ছুরি দিয়ে কণ্ঠনালীতে আঘাত করেন বলে তিনি জানান।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় এক যুবককে মত্যুদণ্ড এবং তার মা ও বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। দণ্ডিতরা হলেন- মো. আজম এবং তার মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহার। ঘটনার সময় ২০০৯ সালে ২১ বছরের যুবক ছিলেন আজম, ফরিদার বয়স ছিল ৫৫ এবং কামরুন নাহারের বয়স ছিল ২৫ বছর। ১১ বছর আগে জমির বিরোধে প্রতিবেশীকে গলাকেটে হত্যায় অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গতকাল চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের পরপর আজম ও তার বাবা রাজ্জাক পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা ফরিদা ও কামরুন নাহারকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ মামলার অন্য আসামি আজমের বাবা আবদুর রাজ্জাক বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আজম পলাতক। তার মা ও বোন আগে আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। আসামিরা ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী আবদুস সালামকে গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় সালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে আজম, তারা বাবা আবদুর রাজ্জাক, মা ফরিদা বেগম ও বোন কামরুন নাহারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত করে ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। ঘটনার বিবরণে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লোকমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাত দিন আগে আবদুস সালাম দেশে ফেরেন। ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর সকালে সালাম তার বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া গোয়ালঘর ঠিক করছিলেন। এ সময় আজম, তার বাবা-মা ও বোন বাধা দেন। দুপুরে সালাম স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আসামিরা তার ঘরে ঢোকে। সালামকে মাটিতে ফেলে রাজ্জাক মাথা চেপে ধরেন, ফরিদা ও কামরুন নাহার তার হাত-পা চেপে ধরেন, আর আজম ছুরি দিয়ে কণ্ঠনালীতে আঘাত করেন বলে তিনি জানান।