ডিএসইতে মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা

গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস পতন আর শেষের দুই কার্যদিবস উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে উত্থান-পতনের হিসাব শেষে দেখা গেছে সপ্তাহটিতে পতনের পাল্লাই ভারি ছিল। অর্থাৎ সপ্তাহটিতে সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। সপ্তাহটিতে বৃহৎ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৪ হাজার ৭০৮ কোটি ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১০৫ টাকা বা ৩৭.৬৩ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২০৩ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার ৭২১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৪৫২ কোটি ৭৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ২২১ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬.৬৮ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৭.৬৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২০.০৯ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৪৭ পয়েন্ট বা ০.৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৬১.৩০ পয়েন্টে এবং ২১৭৩.৭৩ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির বা ১৫.৬১ শতাংশের, কমেছে ২১৯টির বা ৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৯টির বা ২৪.৩৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৮৬ টাকাবা ৮.৭৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪৪.২৫ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৩১.১৪ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২১২.২৮ পয়েন্ট বা ২.১০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৩৪.৯৩ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৮.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৪৯ শতাংশ এবং সিএসআই ২১.৭৪ পয়েন্ট বা ২.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৮৫৩.৬৮ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৮৭৩.৪২ পয়েন্টে, ১ হাজার ২৫৬.৫৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৯.৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫২টির বা ১৭.৬৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৩টির বা ৬২.০৩ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ২০.৩৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ডিএসইতে মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস পতন আর শেষের দুই কার্যদিবস উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে উত্থান-পতনের হিসাব শেষে দেখা গেছে সপ্তাহটিতে পতনের পাল্লাই ভারি ছিল। অর্থাৎ সপ্তাহটিতে সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। সপ্তাহটিতে বৃহৎ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৪ হাজার ৭০৮ কোটি ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১০৫ টাকা বা ৩৭.৬৩ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২০৩ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার ৭২১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৪৫২ কোটি ৭৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ২২১ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬.৬৮ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৭.৬৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২০.০৯ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৪৭ পয়েন্ট বা ০.৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৬১.৩০ পয়েন্টে এবং ২১৭৩.৭৩ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির বা ১৫.৬১ শতাংশের, কমেছে ২১৯টির বা ৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৯টির বা ২৪.৩৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৮৬ টাকাবা ৮.৭৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪৪.২৫ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৩১.১৪ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২১২.২৮ পয়েন্ট বা ২.১০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৩৪.৯৩ পয়েন্ট বা ২.৫৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৮.৯৯ পয়েন্ট বা ১.৪৯ শতাংশ এবং সিএসআই ২১.৭৪ পয়েন্ট বা ২.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৮৫৩.৬৮ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৮৭৩.৪২ পয়েন্টে, ১ হাজার ২৫৬.৫৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৯.৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫২টির বা ১৭.৬৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৩টির বা ৬২.০৩ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ২০.৩৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।