গিনেস বুকে উঠবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডে উঠানো হবে। এই প্রতিকৃতি থেকে আমাদের অর্জনও আছে। প্রায় তিন হাজার মণ ধান পাবো। এই ধান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভা-ারে দেয়া হবে। গতকাল নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে আমরা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠাবো। আমরা বঙ্গবন্ধুকে সারাবিশ্বে তুলে ধরতে চাই। বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন। তার জন্মশতবর্ষে এটা শ্রেষ্ঠ কর্ম হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোন স্থানে হয়নি। শস্যের ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দু’ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধানের চারা চীন থেকে নেয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপণের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে উঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি টাকা। এরমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে জমি লিজ নেয়া হয়েছে।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

গিনেস বুকে উঠবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডে উঠানো হবে। এই প্রতিকৃতি থেকে আমাদের অর্জনও আছে। প্রায় তিন হাজার মণ ধান পাবো। এই ধান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভা-ারে দেয়া হবে। গতকাল নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে আমরা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠাবো। আমরা বঙ্গবন্ধুকে সারাবিশ্বে তুলে ধরতে চাই। বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি তৃণমূলের প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন। তার জন্মশতবর্ষে এটা শ্রেষ্ঠ কর্ম হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোন স্থানে হয়নি। শস্যের ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দু’ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধানের চারা চীন থেকে নেয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপণের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে উঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি টাকা। এরমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে জমি লিজ নেয়া হয়েছে।