সানোফি কর্মীদের আমরণ অনশন ঘোষণা

আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কারস-এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’। গত বৃহস্পতিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

‘সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কারস-এমপøিয়জ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি নুরুজ্জামান রাজু এবং সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সানোফি ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে এ দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় দাবি পূরণে আমরণ অনশন কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই।

এতে আরও বলা হয়, ৬২ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে আসা সানোফি বাংলাদেশ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ছাড়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তারা বলেনি কোম্পানির ১০০০ এমপ্লয়ির কি হবে। ভবিষ্যতের চরম দুশ্চিন্তায় তাই সাধারণ এমপ্লয়িরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তিন মাস পর এমপ্লয়িরা আবার কাজে ফিরে যান। তারা বলেছিলেন-ব্যবসা ঠিক থাকলে, পজেটিভ এনভায়রনমেন্ট বজায় থাকলে কোম্পানি অবশ্যই এমপ্লয়িদের দাবি শুনবে।

এপ্রিল থেকে শুরু হয় ভয়াবহ করোনাভাইরাসের আক্রমণ। কিন্তু সানোফি বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখায় ২০২০ সালে কোম্পানির ব্যবসা ঠিক ছিল। তারপর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এমপ্লয়িরা কোম্পানির সেলস টার্গেট পূরণ করে দিয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এমপ্লয়িরা সব সময় তাদের সব কথা বিশ্বাস করেছে। কিন্তু গত বুধবার ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে এক মিটিংয়ে মুঈনউদ্দীন মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি না যে, আমরা আপনাদের কোন আশা দেখিয়েছিলাম ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে।’ তাদের সব স্বার্থ হাসিল হওয়ায় এখন সব ভুলে গেছে। ১৫ মাস পর তারা এমপ্লয়িদের বলেন, কোম্পানি কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ দেবে না। এ অবস্থায় আমাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের ৪০০ সদস্য আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এই আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপরও ম্যানেজমেন্ট এমপ্লয়িদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই আমরণ কর্মসূচিতে যোগদান দেবে।

সানোফির লোকাল এবং গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টের প্রতি ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখনও সময় আছে, ট্রেড ইউনিয়নের আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ মেনে নিন, আপনার এমপ্লয়িজদের আমরণ অনশন করতে বাধ্য করবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে এমপ্লয়িদের দাবির ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো সানোফি বাংলাদেশের ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকপক্ষ বিসিআইসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন, ইন্টারনেশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, অন্যান্য দূতাবাস এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সানোফি কর্মীদের আমরণ অনশন ঘোষণা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ‘সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কারস-এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’। গত বৃহস্পতিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

‘সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড ওয়ার্কারস-এমপøিয়জ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি নুরুজ্জামান রাজু এবং সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সানোফি ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে এ দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় দাবি পূরণে আমরণ অনশন কর্মসূচির কোন বিকল্প নেই।

এতে আরও বলা হয়, ৬২ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে আসা সানোফি বাংলাদেশ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ছাড়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তারা বলেনি কোম্পানির ১০০০ এমপ্লয়ির কি হবে। ভবিষ্যতের চরম দুশ্চিন্তায় তাই সাধারণ এমপ্লয়িরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তিন মাস পর এমপ্লয়িরা আবার কাজে ফিরে যান। তারা বলেছিলেন-ব্যবসা ঠিক থাকলে, পজেটিভ এনভায়রনমেন্ট বজায় থাকলে কোম্পানি অবশ্যই এমপ্লয়িদের দাবি শুনবে।

এপ্রিল থেকে শুরু হয় ভয়াবহ করোনাভাইরাসের আক্রমণ। কিন্তু সানোফি বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখায় ২০২০ সালে কোম্পানির ব্যবসা ঠিক ছিল। তারপর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এমপ্লয়িরা কোম্পানির সেলস টার্গেট পূরণ করে দিয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এমপ্লয়িরা সব সময় তাদের সব কথা বিশ্বাস করেছে। কিন্তু গত বুধবার ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে এক মিটিংয়ে মুঈনউদ্দীন মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি না যে, আমরা আপনাদের কোন আশা দেখিয়েছিলাম ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে।’ তাদের সব স্বার্থ হাসিল হওয়ায় এখন সব ভুলে গেছে। ১৫ মাস পর তারা এমপ্লয়িদের বলেন, কোম্পানি কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ দেবে না। এ অবস্থায় আমাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের ৪০০ সদস্য আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এই আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপরও ম্যানেজমেন্ট এমপ্লয়িদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই আমরণ কর্মসূচিতে যোগদান দেবে।

সানোফির লোকাল এবং গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টের প্রতি ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখনও সময় আছে, ট্রেড ইউনিয়নের আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ মেনে নিন, আপনার এমপ্লয়িজদের আমরণ অনশন করতে বাধ্য করবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে এমপ্লয়িদের দাবির ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো সানোফি বাংলাদেশের ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকপক্ষ বিসিআইসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন, ইন্টারনেশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, অন্যান্য দূতাবাস এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।