সারাদেশের ন্যায় বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা উত্তরপাড়া জোবেদা ইউনুস মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ছিল। যা পরবর্তীতে পদ সৃজনের সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাড়হা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আসায় মূল নামটি বাদ পড়ে যায়। এখনো স্কুলের মূল ফটকে আসল নামটি রয়েছে। দাপ্তরিকভাবে নাম পরিবর্তন করে সঠিক করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার পরও নামটি সংশোধন হয়নি। পরবর্তী সময়ে অক্টোবর ২০২০ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে নাম সৃজন করা হয়েছে সেই নাম সংশোধন করার সুযোগ নেই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে নাম সংশোধন করা যেতে পারে। এখন প্রায় ৩-৪ মাসের মধ্যে শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের আর কোন উদ্যোগ নেয়নি। এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, ২০১৭ সালের মে মাসে অফিস আদেশ মূলে রাজস্ব খাতে এ বিদ্যালয়টি সৃজন হয়। জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মন্ডলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নাম সংশোধনের জন্য প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করি সেই প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে যে নামে পদ সৃজন করা হয়েছে তা সংশোধনের কোন সুযোগ নেই বলে তারা জানিয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করলে উপজেলা ও জেলা নাম যাচাই বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পুনরায় সংশোধন আকারে প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে। জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, এখন আমার বয়স হয়েছে প্রায় ৯৫ বছর কতদিন বাঁচব জানি না। আমার স্ত্রী’র নামে এই বিদ্যালয়টি করার জন্য ৩৩ শতক জমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে দান করেছি। যা আমাকে বারবার বাঁচিয়ে রাখবে। আর স্কুলের নামের ভুল সংশোধন করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কথা হচ্ছে মরার আগে শেষ পর্যন্ত সংশোধিত নামটি দেখে যেতে পারবো তো?
শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)
সারাদেশের ন্যায় বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা উত্তরপাড়া জোবেদা ইউনুস মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ছিল। যা পরবর্তীতে পদ সৃজনের সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাড়হা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আসায় মূল নামটি বাদ পড়ে যায়। এখনো স্কুলের মূল ফটকে আসল নামটি রয়েছে। দাপ্তরিকভাবে নাম পরিবর্তন করে সঠিক করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার পরও নামটি সংশোধন হয়নি। পরবর্তী সময়ে অক্টোবর ২০২০ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে নাম সৃজন করা হয়েছে সেই নাম সংশোধন করার সুযোগ নেই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে নাম সংশোধন করা যেতে পারে। এখন প্রায় ৩-৪ মাসের মধ্যে শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের আর কোন উদ্যোগ নেয়নি। এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, ২০১৭ সালের মে মাসে অফিস আদেশ মূলে রাজস্ব খাতে এ বিদ্যালয়টি সৃজন হয়। জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মন্ডলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নাম সংশোধনের জন্য প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করি সেই প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে যে নামে পদ সৃজন করা হয়েছে তা সংশোধনের কোন সুযোগ নেই বলে তারা জানিয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করলে উপজেলা ও জেলা নাম যাচাই বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পুনরায় সংশোধন আকারে প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে। জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, এখন আমার বয়স হয়েছে প্রায় ৯৫ বছর কতদিন বাঁচব জানি না। আমার স্ত্রী’র নামে এই বিদ্যালয়টি করার জন্য ৩৩ শতক জমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে দান করেছি। যা আমাকে বারবার বাঁচিয়ে রাখবে। আর স্কুলের নামের ভুল সংশোধন করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কথা হচ্ছে মরার আগে শেষ পর্যন্ত সংশোধিত নামটি দেখে যেতে পারবো তো?