দেশে সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ রেলপথ সিলেট

রেলপথটি পুরনো লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে : রেলমন্ত্রী

সিলেটে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে দেশে যতগুলো বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার সবই ঢাকা-সিলেট রেলপথের আখাউড়া-সিলেট অংশে। সুধিজন বলছেন, ব্রিটিশ আমলের জীর্ণদশায় চলে যাওয়া রেলপথ নতুন করে না করায় এমনটি হচ্ছে। এটি নিয়ে বার বার দাবি তোলার পরও সরকার এদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজাগাওয়ে তেনবাগহী যে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হতো তাহলে অনেক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দুইবার ও ডিসেম্বর একবার এই রেলপথে ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে এ রেলপথে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২১ যাত্রী। ওই বছরের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন, অর্থাৎ কসবার দুর্ঘটনার পাঁচ মাস আগে সেতু ভেঙে লাইনচ্যুত হয়ে পানিতে পড়ে যায় উপবন এক্সপ্রেসের একটি বগি। এতে চারজন নিহত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, প্রায় প্রতি মাসেই ঢাকা-সিলেট রেলপথের আখাউড়া-সিলেট অংশে এক বা একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে, এর বেশিরভাগই লাইনচ্যুতির ঘটনা। এরমধ্যে ২০১৯ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু লাইনচ্যুতির ঘটনাই ঘটেছে নয়টি। ওই বছরের ১৬ মে দেশে ফেঞ্চুগঞ্জে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন, ২ জুন শায়েস্তাগঞ্জে কুশিয়ারা এক্সপ্রেস, ২০ জুলাই একই স্থানে কালনী এক্সপ্রেস, ১৯ জুলাই কুলাউড়ায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ৪ সেপ্টেম্বর ও ১৬ আগস্ট একই এলাকায় উপবন এক্সপ্রেস, ১৭ সেপ্টেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জে জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ৪ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ২৯ ডিসেম্বর কুলাউড়ার বরমচালে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এছাড়া মুখোমুখি সংঘর্ষ ও সেতু ভেঙে বগি পানিতে পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাওয়ে তেলবাহী একটি ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গতবছরের ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের মাধবপুরে যে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে, তাতে রেলকর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এত দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এই সেকশনটির অনেক স্থানে একটা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হয় না। প্রয়োজন হলে ট্রেনের পেছনে আরও একটি ইঞ্জিন জুড়ে দিয়ে ট্রেন টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা করতে গিয়ে অনেক সময় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তখন লাইনচ্যুতিসহ ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়।

তবে শুধুই ভূ-প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা নয়, সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য আখাউড়া-সিলেট রেলপথে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে উঠে এসেছিল কুলাউড়ায় উপবন এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্তে দেখা গেছে, ‘ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্কস ম্যানুয়াল এবং জেনারেল অ্যান্ড সাবসিডিয়ারি রুল’ অনুযায়ী রেলপথটি সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হন রেলকর্মীরা। দুর্ঘটনার জন্য ‘রেলপথ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া’কে দায়ী করা হয় ওই প্রতিবেদনে। রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেলপথটি বেশ পুরনো। রেলপথটি সংস্কার করে বিদ্যমান মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করার জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নতুন করে রেলপথটি বানানো হলে ঢাকা-সিলেট রুটের যাত্রীরা উন্নত ও নিরাপদ রেলসেবা পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই ইউ শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেললাইন শুধু সংস্কারের মাধ্যমেই চলছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ব্রডগেজ ও ডাবল ওয়ে রেললাইন বসানো। প্রায়ই দেখা যায় একনেক-এর বৈঠকে আলোচনা হয়। কিন্তু এটা আর বাস্তবায়িত হয় না। এর ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্য কারণও থাকতে পারে। যেমন চালকের অদক্ষতা বা সিগন্যাল ম্যানের অদক্ষতা ইত্যাদি। তবে মূলত সিলেট-ঢাকা বিশেষকরে আখাউড়া-সিলেট এই রেললাইনটি ব্রডগেজ করা উচিত। বর্তমান পুরো রেললাইন উত্তোলন করে নতুন রেললাইন করা দরকার। যেভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম করা হয়েছে। এগুলো না করা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কমবে না। গত দিনের তেলবাহী ট্রেনের দুর্ঘটনাটি ছিল খুব বয়াবহ। এটি যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হতো তাহলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতো।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম বলেন, সিলেটে ট্রেন লাইনের সংস্কার দরকার। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের জন্য কথা হচ্ছে। হয়তো কিছু হয়েছেও। তবে এগুলো সঠিকভাবে হয়নি বিধায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে বিশেষ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ রেলপথ সিলেট

রেলপথটি পুরনো লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে : রেলমন্ত্রী

আকাশ চৌধুরী

image

সিলেট : বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার গুঁতিগাঁওয়ে দুর্ঘটনার কবলে তেলবাহী ট্রেন -সংবাদ

সিলেটে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে দেশে যতগুলো বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার সবই ঢাকা-সিলেট রেলপথের আখাউড়া-সিলেট অংশে। সুধিজন বলছেন, ব্রিটিশ আমলের জীর্ণদশায় চলে যাওয়া রেলপথ নতুন করে না করায় এমনটি হচ্ছে। এটি নিয়ে বার বার দাবি তোলার পরও সরকার এদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজাগাওয়ে তেনবাগহী যে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হতো তাহলে অনেক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দুইবার ও ডিসেম্বর একবার এই রেলপথে ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে এ রেলপথে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২১ যাত্রী। ওই বছরের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন, অর্থাৎ কসবার দুর্ঘটনার পাঁচ মাস আগে সেতু ভেঙে লাইনচ্যুত হয়ে পানিতে পড়ে যায় উপবন এক্সপ্রেসের একটি বগি। এতে চারজন নিহত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, প্রায় প্রতি মাসেই ঢাকা-সিলেট রেলপথের আখাউড়া-সিলেট অংশে এক বা একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে, এর বেশিরভাগই লাইনচ্যুতির ঘটনা। এরমধ্যে ২০১৯ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু লাইনচ্যুতির ঘটনাই ঘটেছে নয়টি। ওই বছরের ১৬ মে দেশে ফেঞ্চুগঞ্জে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন, ২ জুন শায়েস্তাগঞ্জে কুশিয়ারা এক্সপ্রেস, ২০ জুলাই একই স্থানে কালনী এক্সপ্রেস, ১৯ জুলাই কুলাউড়ায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ৪ সেপ্টেম্বর ও ১৬ আগস্ট একই এলাকায় উপবন এক্সপ্রেস, ১৭ সেপ্টেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জে জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ৪ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ২৯ ডিসেম্বর কুলাউড়ার বরমচালে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এছাড়া মুখোমুখি সংঘর্ষ ও সেতু ভেঙে বগি পানিতে পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাওয়ে তেলবাহী একটি ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গতবছরের ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের মাধবপুরে যে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে, তাতে রেলকর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এত দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এই সেকশনটির অনেক স্থানে একটা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হয় না। প্রয়োজন হলে ট্রেনের পেছনে আরও একটি ইঞ্জিন জুড়ে দিয়ে ট্রেন টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা করতে গিয়ে অনেক সময় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তখন লাইনচ্যুতিসহ ট্রেন দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়।

তবে শুধুই ভূ-প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা নয়, সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য আখাউড়া-সিলেট রেলপথে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে উঠে এসেছিল কুলাউড়ায় উপবন এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্তে দেখা গেছে, ‘ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্কস ম্যানুয়াল এবং জেনারেল অ্যান্ড সাবসিডিয়ারি রুল’ অনুযায়ী রেলপথটি সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হন রেলকর্মীরা। দুর্ঘটনার জন্য ‘রেলপথ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া’কে দায়ী করা হয় ওই প্রতিবেদনে। রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেলপথটি বেশ পুরনো। রেলপথটি সংস্কার করে বিদ্যমান মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করার জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নতুন করে রেলপথটি বানানো হলে ঢাকা-সিলেট রুটের যাত্রীরা উন্নত ও নিরাপদ রেলসেবা পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই ইউ শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেললাইন শুধু সংস্কারের মাধ্যমেই চলছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ব্রডগেজ ও ডাবল ওয়ে রেললাইন বসানো। প্রায়ই দেখা যায় একনেক-এর বৈঠকে আলোচনা হয়। কিন্তু এটা আর বাস্তবায়িত হয় না। এর ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্য কারণও থাকতে পারে। যেমন চালকের অদক্ষতা বা সিগন্যাল ম্যানের অদক্ষতা ইত্যাদি। তবে মূলত সিলেট-ঢাকা বিশেষকরে আখাউড়া-সিলেট এই রেললাইনটি ব্রডগেজ করা উচিত। বর্তমান পুরো রেললাইন উত্তোলন করে নতুন রেললাইন করা দরকার। যেভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম করা হয়েছে। এগুলো না করা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কমবে না। গত দিনের তেলবাহী ট্রেনের দুর্ঘটনাটি ছিল খুব বয়াবহ। এটি যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হতো তাহলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতো।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম বলেন, সিলেটে ট্রেন লাইনের সংস্কার দরকার। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের জন্য কথা হচ্ছে। হয়তো কিছু হয়েছেও। তবে এগুলো সঠিকভাবে হয়নি বিধায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে বিশেষ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।