দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হার কমে নেমেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো আট হাজার ১৮২ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনে। এছাড়া দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে। যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪২৪ জন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে বর্তমানে ২০৬টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার রয়েছে ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৮টি পরীক্ষাগারে, আর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৬২টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৫ হাজার ৮১১টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৬টি। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৩টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ এক হাজার ৭০৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে আট লাখ ২২ হাজার ৭৬৮টি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পুরুষ চারজন, আর নারী তিনজন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ২০০ জন, আর নারী মারা গেছেন এক হাজার ৯৮২ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ রয়েছেন চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছয়জন আর রাজশাহী বিভাগের আছেন একজন। ২৪ ঘণ্টায় সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৫০৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮৩ জন, রংপুর বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের সাতজন, বরিশাল বিভাগের আটজন, রাজশাহী বিভাগের ২৪ জন, সিলেট বিভাগের ২৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন সাতজন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৪৩২ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৬৫৩ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ২০ হাজার ৪৬১ জন, ছাড়া পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৮৭৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৩ হাজার ৫৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৫০ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৩৯৪ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩৪৭ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হার কমে নেমেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো আট হাজার ১৮২ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জনে। এছাড়া দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশে। যা এপ্রিলের পর সবচেয়ে কম। গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮২ হাজার ৪২৪ জন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে বর্তমানে ২০৬টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার রয়েছে ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৮টি পরীক্ষাগারে, আর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৬২টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৫ হাজার ৮১১টি, পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৬টি। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৩টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ এক হাজার ৭০৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে আট লাখ ২২ হাজার ৭৬৮টি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পুরুষ চারজন, আর নারী তিনজন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ২০০ জন, আর নারী মারা গেছেন এক হাজার ৯৮২ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ রয়েছেন চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছয়জন আর রাজশাহী বিভাগের আছেন একজন। ২৪ ঘণ্টায় সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৫০৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮৩ জন, রংপুর বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের সাতজন, বরিশাল বিভাগের আটজন, রাজশাহী বিভাগের ২৪ জন, সিলেট বিভাগের ২৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন সাতজন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৪৩২ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৬৫৩ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ২০ হাজার ৪৬১ জন, ছাড়া পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৮৭৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৩ হাজার ৫৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৫০ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৩৯৪ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৩৪৭ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।