সাগরিকায় টাইগারদের সুস্পষ্ট আধিপত্য

স্কোর : বাংলাদেশ ৪৩০ ও ৪৭/৩ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯

টাইগাররা যে প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নেমেছে তার ছিটেফোঁটা লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না চট্টগ্রাম টেস্টে। বরং নিজেদের পরিকল্পনামতোই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলের বিপক্ষে তিনদিন ধরেই নিজেদের সুস্পষ্ট প্রাধান্য ধরে রেখেছে। রেকর্ড বই বলছে, সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা দলের গড় রান ৩৭০। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা মেহেদি মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পাশাপাশি সাদমান ও সাকিবের দুটো হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৩০ রান। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের প্রথম ইনিংসে মিরাজ শিকার করেন চারটি উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস থামে ২৫৯ রানে। ১৭১ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা গতকাল শেষ বিকেলে তিন ব্যাটসম্যানকে হারালেও স্কোরবোর্ডে জমা হওয়া ৪৭ রান লিডটাকে নিয়ে গেছে ২১৮ রানে। এখনও হাতে দুটো দিন। ক্রিকেটীয় চরম নাটকীয়তা না ঘটলে আপাতত এই টেস্টে বাংলাদেশের আধিপত্য সুস্পষ্ট।

চট্টগ্রামে টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান হওয়াটা যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি দ্বিতীয় দিন থেকেই স্পিনারদের দাপট দেখানোটাও নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ান স্পিনাররা শিকার করেছেন ৭ উইকেট। আবার ক্যারিবিয়ান দলের প্রথম ইনিংসের ৮টি উইকেটই যায় টাইগার স্পিনারদের দখলে। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের পতন ঘটা তিনটি উইকেটের মধ্যে দুটোই শিকার করেন সফরকারীদলের বিশালদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল। বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে মোটামুটি একটা সংগ্রহ গড়তে পারলেও দলে থাকা চার স্পিনার যে সফরকারী ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকে রানের চাকায় গতি আনতে দেবেন না, সেটা বলার জন্য আসলে কোন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন পড়ে না।

গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে ২৯ ওভারে ২ উইকেট ৭৫ রান করেছিল সফরকারীরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট ৪৯ ও এনক্রুমার বোনার ১৭ রানে গতকাল মাঠে নেমেই টাইগার স্পিনারদের ঘূর্নি মায়ায় পথ হারান। আগের দিনের ১৭ রানের সঙ্গে আর কোন স্কোর যোগ করার আগেই বোনারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বোনারের বিদায়ের পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ব্র্যাথওয়েটের দলের স্কোর এগিয়ে নেয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের অফ-স্পিনার নাইম হাসান। ১১১ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ফিরলে চতুর্থ উইকেটে মায়ারসের সঙ্গে ৬৮ বলে ৫৫ রানের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

অধিনায়কের বিদায়ের পর আক্রমণাত্মক হয়ে বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় ৭টি বাউন্ডারি হাঁকানো মায়ার্সকে থামান চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান তথা স্পিনার মিরাজ। লেগ বিফোর উইকেট হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৪০ রান করেন মায়ার্স।

মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যান ব্র্যাথওয়েট ও মায়ার্সের বিদায়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের ইনিংস মেরামতির লড়াইটা জারি রেখে ব্ল্যাকউড ৩৪ ও ডা সিলভা ১২ রান নিয়ে দুপুরের আহারে যান।

বিরতির পর অনেকটা সময় বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে হতাশায় পোড়ান এই দু’জন। দলীয় ১৫৪ রানে জুটি বেধে দলের স্কোর আড়াইশ পার করেন তারা। বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্রেকথ্রুটা এ পর্যায়ে এনে দেন নাইম ইসলাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৪১ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার মারে ৪২ রান করা ডা সিলভা ফিরে গেলে ষষ্ঠ উইকেটে ২৫৫ বলে ৯৯ রানের জুটিটা ভেঙে যায়। এর তিন রান পর মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্দশ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্ল্যাকউড (৬৮)।

দলীয় ২৫৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডা সিলভার আউটের পর ৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আট নম্বরে নামা রাকিম কর্নওয়ালকে ২ ও নয় নম্বরে নামা কেমার রোচকে খালি হাতে বিদায় দেন মিরাজ। দশ নম্বরে নামা ওয়ারিকানকে (৪) রানে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল।

মেহেদি মিরাজ ২৬ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেটের পতন ঘটান। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো চার উইকেট শিকার করলেন তিনি। এছাড়া মোস্তাফিজ, নাইম ও তাইজুল দুটো করে উইকেট শিকার করেন। বাম ঊরুর ইনজুরিতে পড়ায় গতকাল বল করতে পারেননি গত বৃহস্পতিবার ৬ ওভারে ১৬ রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকা সাকিব আল হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেই দ্বিতীয় ওভারেই দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠায় স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে রানের খাতা খোলার আগেই যথাক্রমে চতুর্থ ও শেষ বলে মাঠছাড়া করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলোচিত স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল।

আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের সঙ্গে যোগ দেয়া টাইগার অধিনায়ক মোমিনুল ১৪ ওভার পর্যন্ত আর কোন বিপর্যয় ঘটতে না দিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন। যেখানে মাত্র ৫ রান ছিল সাদমানের, আর মোমিনুলের ছিল ৩৮ বলে ২৭ রান।

পঞ্চদশ ওভারে জুটিটা ভাঙেন ক্যারিবিয়ন পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৪২ বলে ৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাদমান।

মোমিনুল-মুশফিকের দৃঢ়তায় দিনের বাকি সময়টা পার করে সিরিজের স্বাগতিক দল। গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোমিনুল ৩১ ও মুশফিক ১০ রান নিয়ে আজ ব্যাটিংয়ে নামবেন।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সাগরিকায় টাইগারদের সুস্পষ্ট আধিপত্য

বিশেষ প্রতিনিধি

image

দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মোমিনুলের সঙ্গে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মুশফিক -বিসিবি

স্কোর : বাংলাদেশ ৪৩০ ও ৪৭/৩ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯

টাইগাররা যে প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নেমেছে তার ছিটেফোঁটা লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না চট্টগ্রাম টেস্টে। বরং নিজেদের পরিকল্পনামতোই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলের বিপক্ষে তিনদিন ধরেই নিজেদের সুস্পষ্ট প্রাধান্য ধরে রেখেছে। রেকর্ড বই বলছে, সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা দলের গড় রান ৩৭০। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা মেহেদি মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পাশাপাশি সাদমান ও সাকিবের দুটো হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তোলে ৪৩০ রান। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের প্রথম ইনিংসে মিরাজ শিকার করেন চারটি উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস থামে ২৫৯ রানে। ১৭১ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা গতকাল শেষ বিকেলে তিন ব্যাটসম্যানকে হারালেও স্কোরবোর্ডে জমা হওয়া ৪৭ রান লিডটাকে নিয়ে গেছে ২১৮ রানে। এখনও হাতে দুটো দিন। ক্রিকেটীয় চরম নাটকীয়তা না ঘটলে আপাতত এই টেস্টে বাংলাদেশের আধিপত্য সুস্পষ্ট।

চট্টগ্রামে টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান হওয়াটা যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি দ্বিতীয় দিন থেকেই স্পিনারদের দাপট দেখানোটাও নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ান স্পিনাররা শিকার করেছেন ৭ উইকেট। আবার ক্যারিবিয়ান দলের প্রথম ইনিংসের ৮টি উইকেটই যায় টাইগার স্পিনারদের দখলে। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের পতন ঘটা তিনটি উইকেটের মধ্যে দুটোই শিকার করেন সফরকারীদলের বিশালদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল। বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে মোটামুটি একটা সংগ্রহ গড়তে পারলেও দলে থাকা চার স্পিনার যে সফরকারী ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকে রানের চাকায় গতি আনতে দেবেন না, সেটা বলার জন্য আসলে কোন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন পড়ে না।

গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে ২৯ ওভারে ২ উইকেট ৭৫ রান করেছিল সফরকারীরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট ৪৯ ও এনক্রুমার বোনার ১৭ রানে গতকাল মাঠে নেমেই টাইগার স্পিনারদের ঘূর্নি মায়ায় পথ হারান। আগের দিনের ১৭ রানের সঙ্গে আর কোন স্কোর যোগ করার আগেই বোনারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বোনারের বিদায়ের পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ব্র্যাথওয়েটের দলের স্কোর এগিয়ে নেয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের অফ-স্পিনার নাইম হাসান। ১১১ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ফিরলে চতুর্থ উইকেটে মায়ারসের সঙ্গে ৬৮ বলে ৫৫ রানের পার্টনারশিপের ইতি ঘটে।

অধিনায়কের বিদায়ের পর আক্রমণাত্মক হয়ে বাংলাদেশ বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টায় ৭টি বাউন্ডারি হাঁকানো মায়ার্সকে থামান চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান তথা স্পিনার মিরাজ। লেগ বিফোর উইকেট হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৪০ রান করেন মায়ার্স।

মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যান ব্র্যাথওয়েট ও মায়ার্সের বিদায়ে চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের ইনিংস মেরামতির লড়াইটা জারি রেখে ব্ল্যাকউড ৩৪ ও ডা সিলভা ১২ রান নিয়ে দুপুরের আহারে যান।

বিরতির পর অনেকটা সময় বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে হতাশায় পোড়ান এই দু’জন। দলীয় ১৫৪ রানে জুটি বেধে দলের স্কোর আড়াইশ পার করেন তারা। বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্রেকথ্রুটা এ পর্যায়ে এনে দেন নাইম ইসলাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৪১ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার মারে ৪২ রান করা ডা সিলভা ফিরে গেলে ষষ্ঠ উইকেটে ২৫৫ বলে ৯৯ রানের জুটিটা ভেঙে যায়। এর তিন রান পর মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্দশ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্ল্যাকউড (৬৮)।

দলীয় ২৫৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডা সিলভার আউটের পর ৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আট নম্বরে নামা রাকিম কর্নওয়ালকে ২ ও নয় নম্বরে নামা কেমার রোচকে খালি হাতে বিদায় দেন মিরাজ। দশ নম্বরে নামা ওয়ারিকানকে (৪) রানে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল।

মেহেদি মিরাজ ২৬ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেটের পতন ঘটান। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো চার উইকেট শিকার করলেন তিনি। এছাড়া মোস্তাফিজ, নাইম ও তাইজুল দুটো করে উইকেট শিকার করেন। বাম ঊরুর ইনজুরিতে পড়ায় গতকাল বল করতে পারেননি গত বৃহস্পতিবার ৬ ওভারে ১৬ রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকা সাকিব আল হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেই দ্বিতীয় ওভারেই দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠায় স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে রানের খাতা খোলার আগেই যথাক্রমে চতুর্থ ও শেষ বলে মাঠছাড়া করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলোচিত স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল।

আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের সঙ্গে যোগ দেয়া টাইগার অধিনায়ক মোমিনুল ১৪ ওভার পর্যন্ত আর কোন বিপর্যয় ঘটতে না দিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন। যেখানে মাত্র ৫ রান ছিল সাদমানের, আর মোমিনুলের ছিল ৩৮ বলে ২৭ রান।

পঞ্চদশ ওভারে জুটিটা ভাঙেন ক্যারিবিয়ন পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৪২ বলে ৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাদমান।

মোমিনুল-মুশফিকের দৃঢ়তায় দিনের বাকি সময়টা পার করে সিরিজের স্বাগতিক দল। গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোমিনুল ৩১ ও মুশফিক ১০ রান নিয়ে আজ ব্যাটিংয়ে নামবেন।