চীন ও রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করলেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রথম ভাষণে চীন ও রাশিয়ার প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে হাঁটছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। সবাইকে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, আমেরিকা আবার পুরনো জায়গায় ফিরেছে। রয়টার্স

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর হ্যারি এস ট্রুম্যান ভবনে ভাষণ দেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত প্রথম ভাষণ। এদিন বাইডেন তার রাশিয়া ও পুতিনবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের অমানবিক আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু আর তা চলতে দেয়া হবে না। পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ব্যাপারটা বেশ পরিষ্কার করেই বুঝিয়ে বলেছি। তবে আমার পূর্বসূরির (ট্রাম্প) ঢঙে নয়। আমি ওনাকে বলেছি রাশিয়ার হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলানোর দিন শেষ। মার্কিন নির্বাচনে তাদের হস্তক্ষেপ, আমেরিকার উপর সাইবার আক্রমণ আর মেনে নেয়া হবে না। এমনকি রাশিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, নাগরিকদের উপর বিষ প্রয়োগের ঘটনাও মেনে নেয়া হবে না। তেমন হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে একবারও ভাববে না যুক্তরাষ্ট্র।’ভাষণে চীনের প্রতিও কড়া বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে আমরা তখনই কাজ করব যখন তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হবে। তবে চীনের আগ্রাসী আচরণ মোকাবিলা করব আমরা। অর্থনৈতিক বিধিমালা লঙ্ঘনের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। মেধা সত্ব চুরি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিশ্বের সরকার ব্যবস্থার ওপর আক্রমণের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চীন ও রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করলেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রথম ভাষণে চীন ও রাশিয়ার প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে হাঁটছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। সবাইকে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, আমেরিকা আবার পুরনো জায়গায় ফিরেছে। রয়টার্স

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর হ্যারি এস ট্রুম্যান ভবনে ভাষণ দেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত প্রথম ভাষণ। এদিন বাইডেন তার রাশিয়া ও পুতিনবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের অমানবিক আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু আর তা চলতে দেয়া হবে না। পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ব্যাপারটা বেশ পরিষ্কার করেই বুঝিয়ে বলেছি। তবে আমার পূর্বসূরির (ট্রাম্প) ঢঙে নয়। আমি ওনাকে বলেছি রাশিয়ার হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলানোর দিন শেষ। মার্কিন নির্বাচনে তাদের হস্তক্ষেপ, আমেরিকার উপর সাইবার আক্রমণ আর মেনে নেয়া হবে না। এমনকি রাশিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, নাগরিকদের উপর বিষ প্রয়োগের ঘটনাও মেনে নেয়া হবে না। তেমন হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে একবারও ভাববে না যুক্তরাষ্ট্র।’ভাষণে চীনের প্রতিও কড়া বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে আমরা তখনই কাজ করব যখন তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হবে। তবে চীনের আগ্রাসী আচরণ মোকাবিলা করব আমরা। অর্থনৈতিক বিধিমালা লঙ্ঘনের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। মেধা সত্ব চুরি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিশ্বের সরকার ব্যবস্থার ওপর আক্রমণের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে।’