সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যেকোন অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। গতকাল বিকেলে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন।
দেশে এমন কোন পরিস্থিতি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্তহাতে তা দমন করা হবে।’
বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে, অন্যদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে’ উল্লেখ করে কাদের বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানান। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই, তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবেন না, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তার কাছে কারও প্রশ্রয় নেই। এ দেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সততার প্রতীক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করেননি।’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব শাখা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ, জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিজ-নিজ বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন বলে জানান তিনি।
শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যেকোন অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। গতকাল বিকেলে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন।
দেশে এমন কোন পরিস্থিতি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্তহাতে তা দমন করা হবে।’
বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে, অন্যদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে’ উল্লেখ করে কাদের বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহ্বান জানান। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই, তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবেন না, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তার কাছে কারও প্রশ্রয় নেই। এ দেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সততার প্রতীক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করেননি।’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব শাখা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ, জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিজ-নিজ বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন বলে জানান তিনি।