বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল ন্যাপ

লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে ভোজ্য তেলের দাম। সরকার খোলা বাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও মালিকরা তা মানছেন না। ‘চাল ও ভোজ্য তেলের বাজারে চলছে তেলেসমাতি’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা দ্রুত চাল, ভোজ্য তেল, আটার মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, চাল ও ভোজ্য তেলের বাজারে লাগাম নেই, ঊর্ধ্বমুখী গতিতে থাকা এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে আটার মূল্যও। ভরা মৌসুমে চালের মূল্যবৃদ্ধির কোন যৌক্তিক কারণ নেই। সামান্য যেটুকু ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে, তা পূরণে সরকার চাল আমদানি করছে। তারপরও দফায়-দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অন্যদিকে, তেল নিয়ে তেলেসমাতি থামছেই না।

এতে আরও বলা হয় একদিকে মুনাফাখোর, অসৎ বাজার সিন্ডিকেট, অন্যদিকে চাতালের মালিকদের কারসাজিতে লাগামহীনভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে তেল নিয়ে ভয়াবহ সিন্ডিকেট চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থা বলতে বাস্তবে কিছু নেই। এ কারণে অসৎ ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রায় প্রতিটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিচ্ছে। বাজার নিয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণেই চাল-ভোজ্যতেলের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।’

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল ন্যাপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে ভোজ্য তেলের দাম। সরকার খোলা বাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও মালিকরা তা মানছেন না। ‘চাল ও ভোজ্য তেলের বাজারে চলছে তেলেসমাতি’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা দ্রুত চাল, ভোজ্য তেল, আটার মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, চাল ও ভোজ্য তেলের বাজারে লাগাম নেই, ঊর্ধ্বমুখী গতিতে থাকা এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে আটার মূল্যও। ভরা মৌসুমে চালের মূল্যবৃদ্ধির কোন যৌক্তিক কারণ নেই। সামান্য যেটুকু ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে, তা পূরণে সরকার চাল আমদানি করছে। তারপরও দফায়-দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অন্যদিকে, তেল নিয়ে তেলেসমাতি থামছেই না।

এতে আরও বলা হয় একদিকে মুনাফাখোর, অসৎ বাজার সিন্ডিকেট, অন্যদিকে চাতালের মালিকদের কারসাজিতে লাগামহীনভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে তেল নিয়ে ভয়াবহ সিন্ডিকেট চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থা বলতে বাস্তবে কিছু নেই। এ কারণে অসৎ ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রায় প্রতিটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিচ্ছে। বাজার নিয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণেই চাল-ভোজ্যতেলের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।’