অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু কমাতে চাই সচেতনতা

দেশে বছরে ৯০ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৯ শতাংশের মৃত্যুর কারণ অপরিণত বয়সে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শিশুমৃত্যুর হার একটি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও জীবনমানের সূচক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে? তবে এখনও নবজাতক শিশু মারা যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। এই মৃত্যুহার কমাতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

নবজাতক শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ, অপরিণত বয়সে এবং কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ। অথচ তা প্রতিকারে সেবা ব্যবস্থাপনা সামান্য। আইসিডিডিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রসবপূর্ব নারীদের ক্যাঙারু মাদার কেয়ারের (কেএমসি) মতো সেবা এবং প্রসবপরবর্তী বিশেষ যতেœর ইউনিট (স্ক্যানু) জাতীয় সেবা যতটা পাওয়া উচিত, মা ও নবজাতকরা তা পাচ্ছেন না। কেন এটা হচ্ছে-তা খতিয়ে দেখা দরকার। গৎবাঁধা সেবা দিলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি যন্ত্রের স্বল্পতা থাকে তবে তা দ্রুত সরবরাহ করা উচিত। সেবাপ্রার্থীর সামর্থ্যরে অভাব থাকলে সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে সহায়তা দিতে হবে। প্রসবের সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে থাকলে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সহযোগিতা নিতে হবে। নবজাতককে সব ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

নবজাতকদের মৃত্যুর হার কমাতে হলে মায়েদের খাদ্যের নিরাপত্তা, পড়াশোনা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একজন ভবিষ্যৎ মা-র জন্য কিশোরী বয়স থেকে পুষ্টির যথাযথ ব্যবস্থা করা দরকার। গর্ভবতী অবস্থায় প্রয়োজনীয় সেবা, সুযোগ ও পুষ্টির জোগান দিতে হবে। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু কমাতে চাই সচেতনতা

দেশে বছরে ৯০ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৯ শতাংশের মৃত্যুর কারণ অপরিণত বয়সে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শিশুমৃত্যুর হার একটি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও জীবনমানের সূচক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে? তবে এখনও নবজাতক শিশু মারা যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। এই মৃত্যুহার কমাতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

নবজাতক শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ, অপরিণত বয়সে এবং কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ। অথচ তা প্রতিকারে সেবা ব্যবস্থাপনা সামান্য। আইসিডিডিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রসবপূর্ব নারীদের ক্যাঙারু মাদার কেয়ারের (কেএমসি) মতো সেবা এবং প্রসবপরবর্তী বিশেষ যতেœর ইউনিট (স্ক্যানু) জাতীয় সেবা যতটা পাওয়া উচিত, মা ও নবজাতকরা তা পাচ্ছেন না। কেন এটা হচ্ছে-তা খতিয়ে দেখা দরকার। গৎবাঁধা সেবা দিলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি যন্ত্রের স্বল্পতা থাকে তবে তা দ্রুত সরবরাহ করা উচিত। সেবাপ্রার্থীর সামর্থ্যরে অভাব থাকলে সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে সহায়তা দিতে হবে। প্রসবের সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে থাকলে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সহযোগিতা নিতে হবে। নবজাতককে সব ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

নবজাতকদের মৃত্যুর হার কমাতে হলে মায়েদের খাদ্যের নিরাপত্তা, পড়াশোনা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একজন ভবিষ্যৎ মা-র জন্য কিশোরী বয়স থেকে পুষ্টির যথাযথ ব্যবস্থা করা দরকার। গর্ভবতী অবস্থায় প্রয়োজনীয় সেবা, সুযোগ ও পুষ্টির জোগান দিতে হবে। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।