১৭ মাস বেতনবঞ্চিত মন্দিরের সেবায়েতরা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে জরাজীর্ণ। সেবায়িত ১৭ মাস ধরে পাচ্ছে না সম্মানী। মন্দিরের মূল ভবন ফাটল ধরে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, পানগুছি নদীর ভাঙ্গনে কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার পর স্থান্তরিত করে নির্মিত হয় কৃষি ব্যাংক সড়কে। নির্মাণের ২০-২৫ বছর হয়ে গেলেও হয়নি কখনও বড় ধরনের সংস্কার। বর্তমানে মন্দিরের মূল ভবনটির রাধা গোবিন্দ ম-প, দুর্গা ম-প ও শীতলা ম-পের কক্ষগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে ফাটল ধরে পলেস্তরা খসে পড়ছে। মন্দিরের পূর্ব পশ্চিম দু’পাড়ে বাউন্ডারি ভেঙ্গে অস্থায়ী ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে টিনের বেড়া। এ কারণে এ মন্দিরে ৩ বার চুরি হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে কমিটির সভাপতি রনজিৎ ঘরাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রতন কুমার সাহা। মন্দির পরিচালনার জন্য কমিটি থাকলেও কার্যক্রম চলছে নেই। সভাপতি নিয়মিত এলাকায় না থাকার কারণে সাধারণ সম্পাদক নামে মাত্র তদারকি করছে। বিভিন্ন সময়ে মন্দিরের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দসহ আয় ব্যয়ের হিসাব অনিয়ম হয়েছে। মন্দিরের সেবায়িত শশংকর চক্রবর্তী বলেন, মাসে ৩ হাজার টাকা সম্মানী ধার্য থাকলেও দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে পাচ্ছে না তার সম্মানী। ফান্ডে টাকা নেই বলে কমিটির পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ জানান, একটানা দীর্ঘদিন ধরে এ কমিটি থাকার কারণে মন্দিরের হয়নি কোন পরিবর্তন। শুধু কাগজে কলমে ভাউচার। এ বিষয়ে সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রতন কুমার সাহা বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুইবার সংস্কার করা হয়েছে।

রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৪ মাঘ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

১৭ মাস বেতনবঞ্চিত মন্দিরের সেবায়েতরা

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে জরাজীর্ণ। সেবায়িত ১৭ মাস ধরে পাচ্ছে না সম্মানী। মন্দিরের মূল ভবন ফাটল ধরে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, পানগুছি নদীর ভাঙ্গনে কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার পর স্থান্তরিত করে নির্মিত হয় কৃষি ব্যাংক সড়কে। নির্মাণের ২০-২৫ বছর হয়ে গেলেও হয়নি কখনও বড় ধরনের সংস্কার। বর্তমানে মন্দিরের মূল ভবনটির রাধা গোবিন্দ ম-প, দুর্গা ম-প ও শীতলা ম-পের কক্ষগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে ফাটল ধরে পলেস্তরা খসে পড়ছে। মন্দিরের পূর্ব পশ্চিম দু’পাড়ে বাউন্ডারি ভেঙ্গে অস্থায়ী ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে টিনের বেড়া। এ কারণে এ মন্দিরে ৩ বার চুরি হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে কমিটির সভাপতি রনজিৎ ঘরাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রতন কুমার সাহা। মন্দির পরিচালনার জন্য কমিটি থাকলেও কার্যক্রম চলছে নেই। সভাপতি নিয়মিত এলাকায় না থাকার কারণে সাধারণ সম্পাদক নামে মাত্র তদারকি করছে। বিভিন্ন সময়ে মন্দিরের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দসহ আয় ব্যয়ের হিসাব অনিয়ম হয়েছে। মন্দিরের সেবায়িত শশংকর চক্রবর্তী বলেন, মাসে ৩ হাজার টাকা সম্মানী ধার্য থাকলেও দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে পাচ্ছে না তার সম্মানী। ফান্ডে টাকা নেই বলে কমিটির পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ জানান, একটানা দীর্ঘদিন ধরে এ কমিটি থাকার কারণে মন্দিরের হয়নি কোন পরিবর্তন। শুধু কাগজে কলমে ভাউচার। এ বিষয়ে সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রতন কুমার সাহা বলেন, সরকারি বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুইবার সংস্কার করা হয়েছে।