শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই এবং রুম-টু-রিড

প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিক্ষকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণবিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে রুম-টু-রিড-এর সঙ্গে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক সেলিনা পারভেজ। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে যুক্ত ছিলেন রুম-টু-রিড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার। সমঝোতা স্মারকের আওতায় রুম-টু-রিড তাদের চলমান কার্যক্রমসমূহ ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তর এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটুআই-এর কারিগরি সহায়তায় গ্রহণ করবে এবং ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তপাঠ’, শিক্ষক বাতায়ন এবং কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে এই বিষয়ক ডিজিটাল কনটেন্ট প্রশিক্ষণ এবং সরবরাহ করবে। এই সমঝোতার মাধ্যমে গৃহীত উদ্যোগসমূহ বান্তবায়িত হলে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক উপকারভোগী তথা প্রায় ৪.৫ লাখ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের নিকট পৌঁছানো এবং তাদের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনার কারণে শিশুদের যে শিক্ষা ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রুম-টু-রিড শিশুদের ঘরে বসে থাকাকালীন সময়ে শিক্ষা চলমান রাখার জন্য অনেক ডিজিটাল এডুকেশন রিসোর্স তৈরি ও বিতরণ করেছে। এটুআই-এর প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আরও বেশি লার্নিং রিসোর্স তৈরি করা এবং অনেক বেশি মানুষের কাছে এই রিসোর্সগুলো পৌঁছে দেয়া সম্ভব। রুম-টু-রিড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তনিমা ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর ই-লার্নিং স্পেশালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারওয়ার, রুম-টু-রিড বাংলাদেশের লিটারেসি ডিরেক্টর মো. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, এটুআইয়ের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মেহদি হাসান, রুম-টু-রিড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাকিনা খানম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রাম শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। অন্যদিকে রুম-টু-রিড ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা যারা বাংলাদেশসহ ২২টি দেশে ১৬.৬ মিলিয়ন শিশুদের সাক্ষরতা উন্নয়ন ও শিক্ষায় লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। রুম-টু-রিড বাংলাদেশে ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে এবং পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের পঠন দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী প্রায় ১৬৫০টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম মোবাইল লাইব্রেরি পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, পঠন-শিক্ষণ পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনতে শিক্ষকগণের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের জন্য পঠন-শিক্ষণবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ (যেমন: বেসিক লিটারেসি ইন্সট্রাকশন, রিডিং ইন্সট্রাকশন, রিডিং অ্যাসেসমেন্ট, ই-বুক ডেভেলপমেন্ট, লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি) পরিচালনা করে আসছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৪ মাঘ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই এবং রুম-টু-রিড

image

প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিক্ষকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণবিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে রুম-টু-রিড-এর সঙ্গে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক সেলিনা পারভেজ। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে যুক্ত ছিলেন রুম-টু-রিড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার। সমঝোতা স্মারকের আওতায় রুম-টু-রিড তাদের চলমান কার্যক্রমসমূহ ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তর এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটুআই-এর কারিগরি সহায়তায় গ্রহণ করবে এবং ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তপাঠ’, শিক্ষক বাতায়ন এবং কিশোর বাতায়নের মাধ্যমে এই বিষয়ক ডিজিটাল কনটেন্ট প্রশিক্ষণ এবং সরবরাহ করবে। এই সমঝোতার মাধ্যমে গৃহীত উদ্যোগসমূহ বান্তবায়িত হলে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক উপকারভোগী তথা প্রায় ৪.৫ লাখ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের নিকট পৌঁছানো এবং তাদের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনার কারণে শিশুদের যে শিক্ষা ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রুম-টু-রিড শিশুদের ঘরে বসে থাকাকালীন সময়ে শিক্ষা চলমান রাখার জন্য অনেক ডিজিটাল এডুকেশন রিসোর্স তৈরি ও বিতরণ করেছে। এটুআই-এর প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আরও বেশি লার্নিং রিসোর্স তৈরি করা এবং অনেক বেশি মানুষের কাছে এই রিসোর্সগুলো পৌঁছে দেয়া সম্ভব। রুম-টু-রিড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তনিমা ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর ই-লার্নিং স্পেশালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারওয়ার, রুম-টু-রিড বাংলাদেশের লিটারেসি ডিরেক্টর মো. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি, এটুআইয়ের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মেহদি হাসান, রুম-টু-রিড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাকিনা খানম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রাম শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে নানা ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। অন্যদিকে রুম-টু-রিড ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা যারা বাংলাদেশসহ ২২টি দেশে ১৬.৬ মিলিয়ন শিশুদের সাক্ষরতা উন্নয়ন ও শিক্ষায় লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। রুম-টু-রিড বাংলাদেশে ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে এবং পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের পঠন দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী প্রায় ১৬৫০টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম মোবাইল লাইব্রেরি পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, পঠন-শিক্ষণ পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনতে শিক্ষকগণের সক্ষমতা উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের জন্য পঠন-শিক্ষণবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ (যেমন: বেসিক লিটারেসি ইন্সট্রাকশন, রিডিং ইন্সট্রাকশন, রিডিং অ্যাসেসমেন্ট, ই-বুক ডেভেলপমেন্ট, লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি) পরিচালনা করে আসছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।