খায়রুল কবিরের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাংবাদিক ও ব্যাংকার খায়রুল কবিরের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত রোগে সিঙ্গাপুরে মারা যান। মরহুম খায়রুল কবির দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আজীবন সদস্য ছিলেন।

ব্যাংকিং ক্ষেত্রে খায়রুল কবির ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হোল্ডার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এই ব্যাংকটি আগে ব্যাংক অফ ত্রিপুরা আসাম অ্যান্ড বেঙ্গল নামে পরিচিত ছিল। এটি ভারতের একটি প্রাচীনতম ব্যাংক ছিল। তিনি ইউনাইটেড ব্যাংক অফ পাকিস্তানের তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্বে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান শিল্প ব্যাংকের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি আমেরিকান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো ছিলেন।

খায়রুল কবির ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খান আবদুস সবুর খান, জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, কাজী আনোয়ারুল হক, ড. মাহমুদ হোসেনের মতো দেশের বহু গুণী কৃতী সন্তানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং বন্ধু ছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ১৯৫৫ সালের ‘লিডারশিপ প্রোগ্রাম‘-এর জন্য মনোনীত হন এবং সফলভাবে তা সম্পন্ন করেন। তিনি পূবালী জুট মিলস্ লিমিটেড, ইস্ট পাকিস্তান কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স সোসাইটি এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন।

অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা খায়রুল কবির ছিলেন পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের (বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমি) একজন প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, চুগতাই, হাবিবুর রহমান, এসএম সুলতানের মতো অসংখ্য শিল্পীকে তিনি বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে এফডিসিতে দেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র পরিস্ফুটন ও মুদ্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন।

দেশের ক্রীড়া জগতেও তার পদচারণা ছিল। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তান বাস্কেটবল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মাণ কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ইস্ট পাকিস্তান ফ্লাইং ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

মরহুম খায়রুল কবির ঘোড়াশালের সম্ভ্রান্ত কবির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে সেখানকার পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। মরহুমের আত্মার মাগফিরাতের জন্য আজ তার পৈত্রিক বাড়িতে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৪ মাঘ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

খায়রুল কবিরের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সাংবাদিক ও ব্যাংকার খায়রুল কবিরের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত রোগে সিঙ্গাপুরে মারা যান। মরহুম খায়রুল কবির দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আজীবন সদস্য ছিলেন।

ব্যাংকিং ক্ষেত্রে খায়রুল কবির ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হোল্ডার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এই ব্যাংকটি আগে ব্যাংক অফ ত্রিপুরা আসাম অ্যান্ড বেঙ্গল নামে পরিচিত ছিল। এটি ভারতের একটি প্রাচীনতম ব্যাংক ছিল। তিনি ইউনাইটেড ব্যাংক অফ পাকিস্তানের তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্বে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান শিল্প ব্যাংকের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি আমেরিকান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফেলো ছিলেন।

খায়রুল কবির ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খান আবদুস সবুর খান, জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, কাজী আনোয়ারুল হক, ড. মাহমুদ হোসেনের মতো দেশের বহু গুণী কৃতী সন্তানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং বন্ধু ছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ১৯৫৫ সালের ‘লিডারশিপ প্রোগ্রাম‘-এর জন্য মনোনীত হন এবং সফলভাবে তা সম্পন্ন করেন। তিনি পূবালী জুট মিলস্ লিমিটেড, ইস্ট পাকিস্তান কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স সোসাইটি এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন।

অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা খায়রুল কবির ছিলেন পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের (বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমি) একজন প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, চুগতাই, হাবিবুর রহমান, এসএম সুলতানের মতো অসংখ্য শিল্পীকে তিনি বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে এফডিসিতে দেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র পরিস্ফুটন ও মুদ্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন।

দেশের ক্রীড়া জগতেও তার পদচারণা ছিল। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তান বাস্কেটবল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মাণ কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ইস্ট পাকিস্তান ফ্লাইং ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

মরহুম খায়রুল কবির ঘোড়াশালের সম্ভ্রান্ত কবির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে সেখানকার পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। মরহুমের আত্মার মাগফিরাতের জন্য আজ তার পৈত্রিক বাড়িতে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।