দেশে করোনায় দশ মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো আট হাজার ২০৫ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৯২ জন। যা গত প্রায় দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। সবশেষ গত বছরের ১৭ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ২৬৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। গত শনিবার ৩০৫ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৬২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ১৮ হাজার ১৪৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৩টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ২১৭ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৮৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ১৫ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ১৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৮ জন, চট্টগ্রামের ৬ জন ও রাজশাহীর ১ জন। ১৫ জনের সবাই হাসপাতালে মারা যান।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২০৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২১৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৮৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৪৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৭২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫০৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৭ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ২১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৮০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনায় দশ মাসে সর্বনিম্ন শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো আট হাজার ২০৫ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২৯২ জন। যা গত প্রায় দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। সবশেষ গত বছরের ১৭ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ২৬৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছিল। গত শনিবার ৩০৫ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৬২ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৩৭২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫৬২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ১৮ হাজার ১৪৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৩টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ২১৭ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৮৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ১৫ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ১৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৮ জন, চট্টগ্রামের ৬ জন ও রাজশাহীর ১ জন। ১৫ জনের সবাই হাসপাতালে মারা যান।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২০৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২১৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৮৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৪৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৭২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫০৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৭ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৪৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ২১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৮০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।