বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগ করা হলে এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশ সম্ভবপর হবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পান রিকটার সুইভেনসেন গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে বাসসকে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশেষ করে আইসিটি এবং পরিবেশবান্ধব পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেননা দেশে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে এবং যুদ্ধের পর জাতি পুনর্গঠনে নরওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় শেখ হাসিনা নরওয়ের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।

প্রধানমন্ত্রী নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে নরওয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সারাদেশে এলএনজি’র প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করলে হাইকমিশনার বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, শীঘ্রই দু’দেশ পিটিএ (প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করবে।

তিনি রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ^াস প্রদান করে বলেন, এ ব্যাপারে তারা সব সময় বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা সম্প্রতি স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়তে আরম্ভ করেছে।

মালয়েশিয়ার দূত বাংলাদেশের শিক্ষা এবং জাহাজ শিল্প খাতের সঙ্গে তার দেশ যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের গৃহহীনদের অন্তত একটি করে ঘর দেয়ার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

আরও খবর
মায়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান : তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
শান্তিরক্ষা মিশনে ১৯০০ নারী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী
শেয়ারবাজারে বড় পতন
বিএনপির অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না কাদের
গণফোরাম থেকে কিবরিয়ার পদত্যাগ
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে চেয়ারম্যানের নির্যাতন
আল জাজিরার তথ্যচিত্র মন্দ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত এডিটরস গিল্ড
ফিরোজের অবৈধ সম্পদের চার্জশিট দিচ্ছে দুদক
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ-বিক্ষোভ
এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি এজাহারভুক্ত চার আসামি
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগ করা হলে এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশ সম্ভবপর হবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পান রিকটার সুইভেনসেন গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে বাসসকে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরওয়েকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশেষ করে আইসিটি এবং পরিবেশবান্ধব পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেননা দেশে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে এবং যুদ্ধের পর জাতি পুনর্গঠনে নরওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় শেখ হাসিনা নরওয়ের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।

প্রধানমন্ত্রী নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে নরওয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সারাদেশে এলএনজি’র প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করলে হাইকমিশনার বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, শীঘ্রই দু’দেশ পিটিএ (প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করবে।

তিনি রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ^াস প্রদান করে বলেন, এ ব্যাপারে তারা সব সময় বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা সম্প্রতি স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়তে আরম্ভ করেছে।

মালয়েশিয়ার দূত বাংলাদেশের শিক্ষা এবং জাহাজ শিল্প খাতের সঙ্গে তার দেশ যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের গৃহহীনদের অন্তত একটি করে ঘর দেয়ার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।