পুলিশের লাঠিচার্জ
চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় পাঁচজন শিক্ষার্থীকে থানাহাজতে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শাহবাগ। বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের একপর্যায়ে তাদের সরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু তারা না মানলে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় অন্তত পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরমধ্যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া লিমন ও জান্নাতুল ফেরদৌস রয়েছেন। আন্দোলনে অংশ নেয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা দেশের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে, দোটানায় ফেলেছে আমাদের। অবিলম্বে আমাদের অটোপাস দিতে হবে। অতিরিক্ত ফি আদায় ও সেমিস্টার ফি কমাতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করতে হবে।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি চার দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে এক বছর সেশনজট কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে, হঠাৎ স্থগিত হওয়া দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলো অটোপাস দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পরবর্তী পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসগুলো চালু করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিকের সেমিস্টার ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে, একই সঙ্গে সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করতে হবে।
সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২
পুলিশের লাঠিচার্জ
প্রতিনিধি, ঢাবি
চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় পাঁচজন শিক্ষার্থীকে থানাহাজতে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শাহবাগ। বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের একপর্যায়ে তাদের সরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু তারা না মানলে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় অন্তত পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরমধ্যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া লিমন ও জান্নাতুল ফেরদৌস রয়েছেন। আন্দোলনে অংশ নেয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা দেশের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে, দোটানায় ফেলেছে আমাদের। অবিলম্বে আমাদের অটোপাস দিতে হবে। অতিরিক্ত ফি আদায় ও সেমিস্টার ফি কমাতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করতে হবে।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি চার দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে এক বছর সেশনজট কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে, হঠাৎ স্থগিত হওয়া দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলো অটোপাস দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পরবর্তী পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসগুলো চালু করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিকের সেমিস্টার ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ করতে হবে, একই সঙ্গে সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করতে হবে।