সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিক কামাল হোসেনের ওপর নির্যাতনকারী চার আসামি গত এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার পর প্রথম দিকে আন্দোলন ও চাপের মুখে সন্দেহজনক চারজনসহ এজাহারভুক্ত এক আসামি গ্রেপ্তার হলেও মূল অভিযুক্ত চারজন এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আসামিরা পলাতক ও অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদের তাহিরপুর প্রতিনিধি যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে বালুখেকো চক্র তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে নদীর পাড় থেকে টেনে হেঁছড়ে ঘাগটিয়া বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
তাহিরপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ তরফদার বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে চারজন ও এজাহারনামীয় আরও একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সন্দেহজনক চারজনকে আটক করে পুলিশ। এর পরদিন রইস উদ্দিন নামের এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অধরা রয়েছে মাহমুদ আলী শাহ, দীন ইসলাম, মুশাহিদ তালুকদার ও বহিষ্কৃত মেম্বার মনির উদ্দিন। উল্লেখিত এই চারজন গ্রেপ্তার না হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিক কামাল হোসেনের ওপর নির্যাতনকারী চার আসামি গত এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার পর প্রথম দিকে আন্দোলন ও চাপের মুখে সন্দেহজনক চারজনসহ এজাহারভুক্ত এক আসামি গ্রেপ্তার হলেও মূল অভিযুক্ত চারজন এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আসামিরা পলাতক ও অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদের তাহিরপুর প্রতিনিধি যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে বালুখেকো চক্র তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে নদীর পাড় থেকে টেনে হেঁছড়ে ঘাগটিয়া বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
তাহিরপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ তরফদার বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে চারজন ও এজাহারনামীয় আরও একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সন্দেহজনক চারজনকে আটক করে পুলিশ। এর পরদিন রইস উদ্দিন নামের এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অধরা রয়েছে মাহমুদ আলী শাহ, দীন ইসলাম, মুশাহিদ তালুকদার ও বহিষ্কৃত মেম্বার মনির উদ্দিন। উল্লেখিত এই চারজন গ্রেপ্তার না হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।