ভালুকায় ১৩ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদশূন্য

ভালুকা উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে ১৩ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছাড়াই জোড়া তালি দিয়ে চলছে কৃষি সেবা কার্যক্রম। ফলে তদারকির অভাব, বেশি মূল্যে সার ক্রয়সহ নানা সমস্যায় বিপাকে পরেছেন বোরো চাষিরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ভালুকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পৌরসভার ১টিসহ মোট ৩৪টি ব্লকে ৩৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও ১২ জন অবসর ও ১ জন বদলিজনিত কারণে ১৩টি ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে। ওই সকল খালি ব্লকগুলোতে অন্য ব্লকের কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

এ অবস্থায় চলতি বোরো মৌসুমে উল্লেখিত ব্লকগুলোর আওতায় যে সকল চাষিরা রয়েছেন তারা অনেকেই অভিযোগ করেছেন কৃষি বিভাগের কারও সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই কারণ তারা মাঠে আসেন না। ৬ ফেব্রুয়ারি গত শনিবার উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে গেলে ডাকাতিয়া ও আঙ্গারগাড়া ব্লকের প্রায় ৫০-৬০ জন চাষি জানান চলতি বোরো আবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা কৃষি বিভাগের কোন লোকজনের দেখা পাননি। 

ডাকাতিয়া হিজলপিাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান কৃষি অফিসার এলাকায় আসেন কিনা এ ব্যাপারে তার কোন ধারণা নেই। আঙ্গারগাড়া গ্রামের আবুল হোসেন জানান তিনি ও তার ভাই বিল্লাল হোসেন ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করছেন সম্পুর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই। ডাকাতিয়া সামালিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক জানান তিনি ৩ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন এ পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শ পাননি। তিনি স্থানীয় দোকান হতে টিএসপি (বাংলা) এক বস্তা সার কিনেছেন ১৭৫০ টাকা দিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ডাকাতিয়া, আঙ্গারগাড়া ও কাতলামারী তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন কাতলামরী ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত আবদুল্লা আল মাসুদ নামে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কাতলামরী ব্লকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আঙ্গারগাড়া ও ডাকাতিয়া ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। কারণ ওই দুই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঙ্গারগাড়া আবুল কাসেম ও ডাকাতিয়া মজিবর রহমান অবসরজনিত কারণে ব্লক দুটি খালি হয়। এ ব্যাপারে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লোকবল কম রয়েছে ভালুকায় ৩৪ জনের মধ্যে ১৩ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলোর দায়িত্ব পালন করছেন অন্য ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ যে কারণে একজনের পক্ষে দু’তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন অনেকটাই দুরূহ ব্যাপার হয়ে যায়। তার পরেও কৃষকদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ভালুকায় ১৩ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদশূন্য

প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)

ভালুকা উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে ১৩ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছাড়াই জোড়া তালি দিয়ে চলছে কৃষি সেবা কার্যক্রম। ফলে তদারকির অভাব, বেশি মূল্যে সার ক্রয়সহ নানা সমস্যায় বিপাকে পরেছেন বোরো চাষিরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ভালুকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পৌরসভার ১টিসহ মোট ৩৪টি ব্লকে ৩৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও ১২ জন অবসর ও ১ জন বদলিজনিত কারণে ১৩টি ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে। ওই সকল খালি ব্লকগুলোতে অন্য ব্লকের কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

এ অবস্থায় চলতি বোরো মৌসুমে উল্লেখিত ব্লকগুলোর আওতায় যে সকল চাষিরা রয়েছেন তারা অনেকেই অভিযোগ করেছেন কৃষি বিভাগের কারও সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই কারণ তারা মাঠে আসেন না। ৬ ফেব্রুয়ারি গত শনিবার উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে গেলে ডাকাতিয়া ও আঙ্গারগাড়া ব্লকের প্রায় ৫০-৬০ জন চাষি জানান চলতি বোরো আবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা কৃষি বিভাগের কোন লোকজনের দেখা পাননি। 

ডাকাতিয়া হিজলপিাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান কৃষি অফিসার এলাকায় আসেন কিনা এ ব্যাপারে তার কোন ধারণা নেই। আঙ্গারগাড়া গ্রামের আবুল হোসেন জানান তিনি ও তার ভাই বিল্লাল হোসেন ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করছেন সম্পুর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই। ডাকাতিয়া সামালিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক জানান তিনি ৩ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন এ পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শ পাননি। তিনি স্থানীয় দোকান হতে টিএসপি (বাংলা) এক বস্তা সার কিনেছেন ১৭৫০ টাকা দিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ডাকাতিয়া, আঙ্গারগাড়া ও কাতলামারী তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন কাতলামরী ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত আবদুল্লা আল মাসুদ নামে একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কাতলামরী ব্লকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আঙ্গারগাড়া ও ডাকাতিয়া ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। কারণ ওই দুই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঙ্গারগাড়া আবুল কাসেম ও ডাকাতিয়া মজিবর রহমান অবসরজনিত কারণে ব্লক দুটি খালি হয়। এ ব্যাপারে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লোকবল কম রয়েছে ভালুকায় ৩৪ জনের মধ্যে ১৩ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলোর দায়িত্ব পালন করছেন অন্য ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ যে কারণে একজনের পক্ষে দু’তিনটি ব্লকের দায়িত্ব পালন অনেকটাই দুরূহ ব্যাপার হয়ে যায়। তার পরেও কৃষকদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।