দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩০ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২২১ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩১৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৮ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৯৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৪টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার ২০১টি। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ২২৯ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯২ জন নারী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৬ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, বরিশালে ১ জন, রংপুরে ১ জন এবং রাজশাহীতে ১ জন মারা গেছেন। ১৬ জনের সবাই হাসপাতালে মারা যান। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২২৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৪৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৮৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৭ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৫৪২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৩২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২২০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩০ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২২১ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩১৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৮ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৩ হাজার ৯৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৪টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার ২০১টি। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ২২৯ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯২ জন নারী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৬ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, বরিশালে ১ জন, রংপুরে ১ জন এবং রাজশাহীতে ১ জন মারা গেছেন। ১৬ জনের সবাই হাসপাতালে মারা যান। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২২৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৪৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৮৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৭ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৫৪২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৩২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২২০ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।