দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায় : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাজ থেকে দুর্নীতি রোধে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে একটি দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সবার প্রতি দেশব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

দুদকের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি কমিশন ভবিষ্যতে দুর্নীতি রোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকা- সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, ২০১৯ সালে ২১ হাজারের অধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৮% অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং ১৭% সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে ৩৪৯৭ কোটি টাকার বেশি জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে। ৪৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের সততা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নবম থেকে ওপরের গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করেন।

এছাড়া তিনি সিভিল সার্ভিস রিফর্মস কমিশন প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করেন।

দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতি রোধে কমিশনের পেশকৃত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং এএফএম আমিনুল ইসলাম এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায় : রাষ্ট্রপতি

বাসস

image

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাজ থেকে দুর্নীতি রোধে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে একটি দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সবার প্রতি দেশব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

দুদকের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি কমিশন ভবিষ্যতে দুর্নীতি রোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকা- সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, ২০১৯ সালে ২১ হাজারের অধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৮% অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং ১৭% সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে ৩৪৯৭ কোটি টাকার বেশি জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে। ৪৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের সততা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নবম থেকে ওপরের গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করেন।

এছাড়া তিনি সিভিল সার্ভিস রিফর্মস কমিশন প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করেন।

দুদক চেয়ারম্যান দুর্নীতি রোধে কমিশনের পেশকৃত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এবং এএফএম আমিনুল ইসলাম এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।