ডে-কেয়ার থেকে শিশু হারালে জেল জরিমানা

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার) থেকে কোন শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেলের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সকালে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন প্রদান করা হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোন শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই আইন প্রবর্তনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণীর কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবেন।’

শকুন রক্ষায় কিটোপ্রোফেন বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

বাংলাদেশে ‘মহাবিপন্ন’ প্রাণীর তালিকায় থাকা শকুন রক্ষায় ব্যথানাশক কিটোপ্রোফেন জাতীয় ভেটেরিনারি ওষুধের উৎপাদন বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশে খুবই ডেঞ্জারাসলি শকুনের সংখ্যা কমে গেছে, খুবই বিপজ্জনক অবস্থায়। সত্তরের দিকে দেশে ৫০ হাজারের মতো শকুন ছিল, এখন তাদের (মন্ত্রণালয়) হিসেবে মাত্র ২৬০টি আছে। তাও ক্রিটিক্যালি অবস্থায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘এটার অন্যতম কারণ হলো কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ব্যবহারের কারণে, এই ওষুধটা শকুনের মধ্যে গেলে শকুন মারা যায়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘ফার্মাসিউটিক্যালস, ড্রাগ কোম্পানি ও এক্সপার্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এই কিটোপ্রোফেন ওষুধ যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে শকুন এদেশে বাঁচবে না।

তিনি বলেন, শকুন যদি না থাকে সেক্ষেত্রে পুরো দেশের মধ্যে যে পরিমাণ মৃত পশু-পাখি থাকে সেগুলো পরিবেশকে নষ্ট করে, রোগজীবাণু ছড়ায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্যতম একটা উপজীব্য হিসেবে শকুন কাজ করে। সেজন্য বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা, সভা-সিম্পোজিয়াম করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ বন্ধ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ‘ম্যালোক্সিক্যাম’ নামে একটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ডে-কেয়ার থেকে শিশু হারালে জেল জরিমানা

বাসস

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার) থেকে কোন শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেলের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সকালে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন প্রদান করা হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোন শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই আইন প্রবর্তনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণীর কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবেন।’

শকুন রক্ষায় কিটোপ্রোফেন বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

বাংলাদেশে ‘মহাবিপন্ন’ প্রাণীর তালিকায় থাকা শকুন রক্ষায় ব্যথানাশক কিটোপ্রোফেন জাতীয় ভেটেরিনারি ওষুধের উৎপাদন বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশে খুবই ডেঞ্জারাসলি শকুনের সংখ্যা কমে গেছে, খুবই বিপজ্জনক অবস্থায়। সত্তরের দিকে দেশে ৫০ হাজারের মতো শকুন ছিল, এখন তাদের (মন্ত্রণালয়) হিসেবে মাত্র ২৬০টি আছে। তাও ক্রিটিক্যালি অবস্থায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘এটার অন্যতম কারণ হলো কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ব্যবহারের কারণে, এই ওষুধটা শকুনের মধ্যে গেলে শকুন মারা যায়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সম্পর্কে আরও বলেন, ‘ফার্মাসিউটিক্যালস, ড্রাগ কোম্পানি ও এক্সপার্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এই কিটোপ্রোফেন ওষুধ যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে শকুন এদেশে বাঁচবে না।

তিনি বলেন, শকুন যদি না থাকে সেক্ষেত্রে পুরো দেশের মধ্যে যে পরিমাণ মৃত পশু-পাখি থাকে সেগুলো পরিবেশকে নষ্ট করে, রোগজীবাণু ছড়ায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্যতম একটা উপজীব্য হিসেবে শকুন কাজ করে। সেজন্য বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা, সভা-সিম্পোজিয়াম করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ বন্ধ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ‘ম্যালোক্সিক্যাম’ নামে একটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।