পাবনায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবনার সুজানগরে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও পদ্মা নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পদ্মা নদীর হাসামপুর, বড়খাপুর এবং নাজিরগঞ্জ এলাকা থেকে ওই বালু উত্তোলন করছে। এতে একদিকে পদ্মা পাড়ের বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি ও মূল্যবান গাছ-পালা ভাঙনের মুখে পড়ছে, অন্যদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সুজানগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুজানগরে সরকারিভাবে কোন বালুমহাল নেই। কিন্তু তারপরও উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে পদ্মা নদীর ওই সব পয়েন্ট থেকে নিষিদ্ধ শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে।

পদ্মাপাড়ের হাসামপুর গ্রামের আবদুল ওহাব বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত পদ্মার নদীর ওই সব পয়েন্ট থেকে শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

পদ্মা পাড়ের মহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে উত্তোলন করার কারণে পদ্মা নদীর কাছের বরখাপুর, হাসামপুর, কামারহাট, গোয়ারিয়া এবং মালফিয়া গ্রামের শত শত বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, মূল্যবান গাছপালা এমনকি নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত ভাঙনের মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ওই সব বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, গাছ-পালা ও ভূমি অফিস নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে মাঝে-মধ্যেই নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি বালু ব্যবসায়ীদের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পাবনায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনার সুজানগরে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও পদ্মা নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পদ্মা নদীর হাসামপুর, বড়খাপুর এবং নাজিরগঞ্জ এলাকা থেকে ওই বালু উত্তোলন করছে। এতে একদিকে পদ্মা পাড়ের বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি ও মূল্যবান গাছ-পালা ভাঙনের মুখে পড়ছে, অন্যদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সুজানগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুজানগরে সরকারিভাবে কোন বালুমহাল নেই। কিন্তু তারপরও উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে পদ্মা নদীর ওই সব পয়েন্ট থেকে নিষিদ্ধ শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে।

পদ্মাপাড়ের হাসামপুর গ্রামের আবদুল ওহাব বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত পদ্মার নদীর ওই সব পয়েন্ট থেকে শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

পদ্মা পাড়ের মহনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে উত্তোলন করার কারণে পদ্মা নদীর কাছের বরখাপুর, হাসামপুর, কামারহাট, গোয়ারিয়া এবং মালফিয়া গ্রামের শত শত বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, মূল্যবান গাছপালা এমনকি নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত ভাঙনের মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ওই সব বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, গাছ-পালা ও ভূমি অফিস নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধে মাঝে-মধ্যেই নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করার পাশাপাশি বালু ব্যবসায়ীদের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।