বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দীত্বের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ করেছে দলটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চেয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এতই দুর্ভাগা, এতই ব্যর্থ যে, তাদের মুক্ত করার কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই বলে সারাজীবন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকবেন এটা সত্যি নয়। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে আমাদের বন্ধন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছিল। তাকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দেয়া হয়েছে। আত্মসাৎ করার ঘটনা প্রমাণ করতে পারেনি।’ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় বাংলাদেশ নিয়ে যে তথ্যচিত্র প্রচার হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণ করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানান সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। এ সময় তিনি বলেন, এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা প্রমাণ করুন আল জাজিরায় যা কিছু আছে, সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া আজ তিন বছর ধরে কারাগারে, আবার কখনও গৃহবন্দী। সরকারের ইচ্ছায় আদালতের শাস্তির নামে তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। সমাবেশের একপর্যায়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন রিজভী। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মির্জা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দীত্বের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ করেছে দলটি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চেয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এতই দুর্ভাগা, এতই ব্যর্থ যে, তাদের মুক্ত করার কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই বলে সারাজীবন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকবেন এটা সত্যি নয়। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে আমাদের বন্ধন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছিল। তাকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দেয়া হয়েছে। আত্মসাৎ করার ঘটনা প্রমাণ করতে পারেনি।’ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় বাংলাদেশ নিয়ে যে তথ্যচিত্র প্রচার হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণ করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানান সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। এ সময় তিনি বলেন, এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা প্রমাণ করুন আল জাজিরায় যা কিছু আছে, সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া আজ তিন বছর ধরে কারাগারে, আবার কখনও গৃহবন্দী। সরকারের ইচ্ছায় আদালতের শাস্তির নামে তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার। সমাবেশের একপর্যায়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন রিজভী। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মির্জা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।