তিন ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রিত
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বান্দারহাট সংলগ্ন ধান সাগর টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বনরক্ষীসহ শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেনসহ পুর্ব সুন্দরবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতার আগুন।
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, গতকাল সকাল ১১টার দিকে গ্রামবাসী ওই এলাকায় ধোঁয়ার কু-লি দেখে বনবিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক বনরক্ষীদের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার চারদিকে নালা কেটে আগুন আটকে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ইউনিট যোগ দেয়। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এতে বনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে বনের ৪/৫ কাঠা জায়গা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
এছাড়া আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পর্যটক কিংবা পথচারীদের ফেলে যাওয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এমন ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সংশ্লিষ্ট এলাকা আপাতত ঘিরে রাখা হবে ।
এছাড়া আগুন লাগার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে বন সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে একটি প্রভাবশালী চক্র বছরের পর বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ লুট করার কারণে প্রতিবছর শুষ্কমৌসুমে চাঁদপাই রেঞ্জের এই অংশে রহস্যজনকভাবে নাশকতার আগুন লাগে ।
কিন্তু হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সব সময় প্রভাবশালীরা থেকে য়ায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। বন কর্মকর্তারা কোন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করেন না। এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ইতেমাধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২
তিন ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রিত
প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বান্দারহাট সংলগ্ন ধান সাগর টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বনরক্ষীসহ শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেনসহ পুর্ব সুন্দরবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতার আগুন।
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, গতকাল সকাল ১১টার দিকে গ্রামবাসী ওই এলাকায় ধোঁয়ার কু-লি দেখে বনবিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক বনরক্ষীদের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার চারদিকে নালা কেটে আগুন আটকে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ইউনিট যোগ দেয়। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এতে বনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে বনের ৪/৫ কাঠা জায়গা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
এছাড়া আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পর্যটক কিংবা পথচারীদের ফেলে যাওয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এমন ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সংশ্লিষ্ট এলাকা আপাতত ঘিরে রাখা হবে ।
এছাড়া আগুন লাগার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে বন সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে একটি প্রভাবশালী চক্র বছরের পর বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ লুট করার কারণে প্রতিবছর শুষ্কমৌসুমে চাঁদপাই রেঞ্জের এই অংশে রহস্যজনকভাবে নাশকতার আগুন লাগে ।
কিন্তু হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সব সময় প্রভাবশালীরা থেকে য়ায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। বন কর্মকর্তারা কোন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করেন না। এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ইতেমাধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।