রাজশাহীতে কৃষক সমিতির ডিসি অফিস ঘেরাও

রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল চালু এবং অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন রোধ করে কৃষি এবং কৃষকদের বাঁচানোর দাবিতে গতকাল রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস ঘেরাও করে জাতীয় কৃষক সমিতি।

সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি কয়েস উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, আবদুল মতিন, জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরজ আলী, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মান্নান, আদিবাসী নেতা রবিন্দ্রনাথ সরেন, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, হজরত আলী প্রমুখ।

যুব মৈত্রীর রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিরুদ্দীন পান্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল বন্ধের মধ্য দিয়ে হাজার-হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা হয়েছে। কর্ম হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। এদিকে কৃষকদের ফসল ফলানো জমি দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। একদিকে রাষ্ট্র শ্রমিকদের কারাখানা বন্ধ করে দিচ্ছে, অপরদিকে সরকারি দলের হাইব্রিডরা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে এই আচরণ কেন? তারা কি দেশের বাইরের কেউ।

রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্ণাহার বিলের উদাহরণ দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে উত্তরবঙ্গ।

দেশের শ্রমিক ও কৃষকদের বাঁচাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তারা বলেন, কৃষি ও কৃষকের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশকে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে।

সমাবেশ শেষে কৃষি ও কৃষক বাঁচানোর দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষক নেতা গনেশ মাঝি, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ জন, রুনা লাইলা, ওয়াজেদ আলী মন্টু, সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রাজশাহীতে কৃষক সমিতির ডিসি অফিস ঘেরাও

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল চালু এবং অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন রোধ করে কৃষি এবং কৃষকদের বাঁচানোর দাবিতে গতকাল রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস ঘেরাও করে জাতীয় কৃষক সমিতি।

সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি কয়েস উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, আবদুল মতিন, জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরজ আলী, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মান্নান, আদিবাসী নেতা রবিন্দ্রনাথ সরেন, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, হজরত আলী প্রমুখ।

যুব মৈত্রীর রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিরুদ্দীন পান্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল বন্ধের মধ্য দিয়ে হাজার-হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা হয়েছে। কর্ম হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। এদিকে কৃষকদের ফসল ফলানো জমি দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। একদিকে রাষ্ট্র শ্রমিকদের কারাখানা বন্ধ করে দিচ্ছে, অপরদিকে সরকারি দলের হাইব্রিডরা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে এই আচরণ কেন? তারা কি দেশের বাইরের কেউ।

রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্ণাহার বিলের উদাহরণ দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, দেশের খাদ্য ভাণ্ডারে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে উত্তরবঙ্গ।

দেশের শ্রমিক ও কৃষকদের বাঁচাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তারা বলেন, কৃষি ও কৃষকের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশকে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে।

সমাবেশ শেষে কৃষি ও কৃষক বাঁচানোর দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষক নেতা গনেশ মাঝি, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ জন, রুনা লাইলা, ওয়াজেদ আলী মন্টু, সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।