চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে মানব পাচার : উদ্ধার হওয়ার পর বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের

দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করার অভিযোগে বাগেরহাট মডেল থানায় নারীসহ ৮ জন কে আসামি করে একটি মানব পাচার ধারায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। গত রোববার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন ভিকটিম মেয়েটির নানা সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নরে পারনওয়া পাড়া গ্রামের মুনসুর আলী নামের এক বৃদ্ধ। মামলার আসামিরা হলো জেলার কচুয়া উপজেলার আলীপুর গ্রামের রকিব বালী (২৩), নাসিমা ওরফে বৃষ্টি আক্তার (২০) একই উপজেলার লড়ারকুল গ্রামের সোহাগ বালী (২৬) সাগর বালী (২৪), ভিকটিমের ফুফু শাহনুর বেগম (৪৫), কোহিনুর বেগম (৪৫), বাগেরহাট সদরের পাতিলাখালী গ্রামের অরুন পাইক (৩০) ও মরু মিস্ত্রি (৩৫)। ৮ আসামির মধ্যে ভিকটিমের ফুফু শাহানুর বেগমসহ ৪ জন ভারতে আটক আছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার এসআই তন্ময় ম-ল মামলার বরাত দিয়ে গতকাল দুপুরে জানান, জেলার কচুয়া উপজেলার মাদারতলা গ্রামের ওই মেয়েটি (১৭) পিতার দারিদ্র্যতার কারণে সদর উপজেলার পারনওয়াপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে থাকত। আর এই দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে মেয়েটির ফুফু শাহানুর বেগম এজাহার নামীয় সব আসামির যোগাযোগের মাধ্যমে চাকরি দেয়ার কথা বলে গত ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল সকালে ভিকটিম কে তার নানাবাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর আর ভিকটিমের খোজ খবর পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ৬ জুন সন্ধ্যায় ভিকটিম তার নানাকে মোবাইল ফোন করে বলে উল্লেখিত আসামিরা তাকে ভারতের সোনাগাজি পতিতালয়ে নিয়ে আসছে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।

অনেক চেষ্টার এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ চেষ্টায় ভরতের সোনাগাজি পতিতালয় থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ বেনাপোল বর্ডার থেকে ভিকটিম ফিরিয়ে আনা হয়। ভিকটিমের কাছ থেকে সব ঘটনার বর্ননা নিয়ে তার নানা মুনসুর আলী বাদী হয়ে মানবপাচারকারী হিসাবে ৮ জনকে শনাক্ত করে গত রোববার রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় মানবপাচার ও দমন আইনে একটি মামলা করেন।

তদন্তকারী কমকর্তা হিসেবে তিনি গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিকটিমের বাড়ি, ঘটনা এলাকা ও আসামিদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জানা গেছে, ভারতের পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারের সময় তার ফুফু শাহানুর বেগম, কোহিনুর বেগম রত্নাসহ ৪ জন আটক হয়ে ভারতে বন্দী আছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ফুফুসহ ৪ জন ভারতে আটক

চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে মানব পাচার : উদ্ধার হওয়ার পর বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করার অভিযোগে বাগেরহাট মডেল থানায় নারীসহ ৮ জন কে আসামি করে একটি মানব পাচার ধারায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। গত রোববার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন ভিকটিম মেয়েটির নানা সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নরে পারনওয়া পাড়া গ্রামের মুনসুর আলী নামের এক বৃদ্ধ। মামলার আসামিরা হলো জেলার কচুয়া উপজেলার আলীপুর গ্রামের রকিব বালী (২৩), নাসিমা ওরফে বৃষ্টি আক্তার (২০) একই উপজেলার লড়ারকুল গ্রামের সোহাগ বালী (২৬) সাগর বালী (২৪), ভিকটিমের ফুফু শাহনুর বেগম (৪৫), কোহিনুর বেগম (৪৫), বাগেরহাট সদরের পাতিলাখালী গ্রামের অরুন পাইক (৩০) ও মরু মিস্ত্রি (৩৫)। ৮ আসামির মধ্যে ভিকটিমের ফুফু শাহানুর বেগমসহ ৪ জন ভারতে আটক আছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার এসআই তন্ময় ম-ল মামলার বরাত দিয়ে গতকাল দুপুরে জানান, জেলার কচুয়া উপজেলার মাদারতলা গ্রামের ওই মেয়েটি (১৭) পিতার দারিদ্র্যতার কারণে সদর উপজেলার পারনওয়াপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে থাকত। আর এই দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে মেয়েটির ফুফু শাহানুর বেগম এজাহার নামীয় সব আসামির যোগাযোগের মাধ্যমে চাকরি দেয়ার কথা বলে গত ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল সকালে ভিকটিম কে তার নানাবাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর আর ভিকটিমের খোজ খবর পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ৬ জুন সন্ধ্যায় ভিকটিম তার নানাকে মোবাইল ফোন করে বলে উল্লেখিত আসামিরা তাকে ভারতের সোনাগাজি পতিতালয়ে নিয়ে আসছে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।

অনেক চেষ্টার এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ চেষ্টায় ভরতের সোনাগাজি পতিতালয় থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ বেনাপোল বর্ডার থেকে ভিকটিম ফিরিয়ে আনা হয়। ভিকটিমের কাছ থেকে সব ঘটনার বর্ননা নিয়ে তার নানা মুনসুর আলী বাদী হয়ে মানবপাচারকারী হিসাবে ৮ জনকে শনাক্ত করে গত রোববার রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় মানবপাচার ও দমন আইনে একটি মামলা করেন।

তদন্তকারী কমকর্তা হিসেবে তিনি গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিকটিমের বাড়ি, ঘটনা এলাকা ও আসামিদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জানা গেছে, ভারতের পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারের সময় তার ফুফু শাহানুর বেগম, কোহিনুর বেগম রত্নাসহ ৪ জন আটক হয়ে ভারতে বন্দী আছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।