সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী নিধন বন্ধ করুন

সুন্দরবনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শিকারী চক্রের সদস্যরা। একের পর এক নিধন করা হচ্ছে বন্যপ্রাণী। ফাঁদ পেতে, বিষটোপ দিয়ে এবং গুলি করে বাঘ ও হরিণ হত্যা করা হচ্ছে। শুধু বন্যপ্রাণীই নয়, বিষ দিয়ে মাছ শিকারের উৎসব চলছে বনের অভ্যন্তরের নদী-খালে।

সুন্দরবনে শিকারী চক্রের দৌরাত্ম্য উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতি লোভের কারণেই বন্যপ্রাণী রক্ষা করা যাচ্ছে না। এসব অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বনবিভাগের। বন ধ্বংসের কাজে যদি তারাই সম্পৃক্ত হন তাহলে বন ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা দেবে কে?

যত দ্রুত সম্ভব বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করা প্রয়োজন। বনসংলগ্ন গ্রামবাসীরা বলছেন, শিকারীদের গডফাদার রয়েছে। কেউ কেউ আবার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চলে। বনজসম্পদ রক্ষা করতে হলে এখনই এদের চিহ্নিত করে দমন করতে হবে। চোরা শিকারীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

বনাঞ্চলে হাট-বাজারগুলোতে বার নির্দিষ্ট করে একেক ধরনের বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এটা বন বিভাগ বা স্থানীয় প্রশাসন জানেন না তা হতে পারে না। কাজেই রক্ষকের ভক্ষক হওয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে হবে। বনের অভ্যন্তরে নজরদারি বাড়াতে হবে। বনবিভাগের যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এটা সত্য যে, সুন্দরবন-সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে অনেক আগে থেকেই চোরা শিকারী ও পাচারকারী সিন্ডিকেট ছিল। কেউ কেউ আবার বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী শিকার করছে। বন ও বন্যপ্রাণীর বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী নিধন বন্ধ করুন

সুন্দরবনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শিকারী চক্রের সদস্যরা। একের পর এক নিধন করা হচ্ছে বন্যপ্রাণী। ফাঁদ পেতে, বিষটোপ দিয়ে এবং গুলি করে বাঘ ও হরিণ হত্যা করা হচ্ছে। শুধু বন্যপ্রাণীই নয়, বিষ দিয়ে মাছ শিকারের উৎসব চলছে বনের অভ্যন্তরের নদী-খালে।

সুন্দরবনে শিকারী চক্রের দৌরাত্ম্য উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতি লোভের কারণেই বন্যপ্রাণী রক্ষা করা যাচ্ছে না। এসব অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বনবিভাগের। বন ধ্বংসের কাজে যদি তারাই সম্পৃক্ত হন তাহলে বন ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা দেবে কে?

যত দ্রুত সম্ভব বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করা প্রয়োজন। বনসংলগ্ন গ্রামবাসীরা বলছেন, শিকারীদের গডফাদার রয়েছে। কেউ কেউ আবার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চলে। বনজসম্পদ রক্ষা করতে হলে এখনই এদের চিহ্নিত করে দমন করতে হবে। চোরা শিকারীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

বনাঞ্চলে হাট-বাজারগুলোতে বার নির্দিষ্ট করে একেক ধরনের বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এটা বন বিভাগ বা স্থানীয় প্রশাসন জানেন না তা হতে পারে না। কাজেই রক্ষকের ভক্ষক হওয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে হবে। বনের অভ্যন্তরে নজরদারি বাড়াতে হবে। বনবিভাগের যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এটা সত্য যে, সুন্দরবন-সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে অনেক আগে থেকেই চোরা শিকারী ও পাচারকারী সিন্ডিকেট ছিল। কেউ কেউ আবার বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী শিকার করছে। বন ও বন্যপ্রাণীর বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।