প্রকল্প পরিচালকদের কারণে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকল্প পরিচালদের (পিডি) কারণে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত এক ওরিয়েন্টশন সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে বলেন, পিডিরা যারা এসেছেন, আপনাদের সম্পর্কে অনেক আলোচনা হচ্ছে বাজারে। আপনারা তো দেখেন। বোবা-কানা নন আমাদের মতো। তাই আপনাদের অনেক বেশি দায়িত্ব আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পিডি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা চলছে। এটাকে কীভাবে আরও বড় করা যায়, শক্তিশালী করা যায়, আপনাদের চলার পথে বাধাগুলো কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায় এগুলো চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা হয়তো নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসব, কিন্তু চাপিয়ে দেব না। আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। উভয়পক্ষে আলোচনা করব। সেভাবে কাজ করার প্রয়োজন আছে। নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে আপনারা গর্ববোধ করবেন। ডোন্ট ফিল সাই, ডোন্ট বি অ্যাফ্রেইড।

তিনি আরও বলেন, কাজ দ্রুত করতে হবে। ফাইল ফেলে রাখলে চলবে না। যথাসময়ে শ্রেষ্ঠ মেধা প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ না খেয়ে বা কম খেয়ে রাজস্ব জোগাচ্ছে। সেই টাকায় আমরা মোটামুটি ভালো আছি। কিন্তু আপনি যদি কাজটাই না করেন তাহলে তো কিছু হলো না। প্রকল্প যখন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় তখন গর্ববোধ করি। এডিপি ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পারলে গর্বিত হই।

প্রধানমন্ত্রীর সামনে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেও ভালো লাগে। সব কাজে আমাদের অবশ্যই ফেয়ার মনে থাকতে হবে। আমার কাছে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসে। পড়ে মনে হয় যেন আবেগে লেখেছে। আবেগে, রাগে, ক্ষোভে লিখেছে। তবু তার কথা শুনতে হবে। তখন বিধিমোতাবেক বিবেচনার জন্য প্রদীপের (আইএমইডি সচিব) কাছে পাঠাই, সিপিটিইউতে (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) পাঠাই। বিধিমোতাবেক আমরা যেন সবাইকে শুনি। আপনারা কাজ করেন।

অহেতুক কাজ কমাতে হবে। অহেতুক প্রশংসা কমিয়ে আনতে হবে। মাঝে মধ্যে ধুলিঝড় উড়ে, দৌঁড়ায় যায়। দিনটা ২৪ ঘণ্টা ধূলিঝড় ৫ মিনিট। ধূলিঝড় জীবন নয়। মাঝেমাঝে আমরা ধূলিঝড় দেখে থাকি। ধূলিঝড় থেকে সাবধান থাকব। ২০২০-২১ অর্থবছরের নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব গাজী সাইফুজ্জামান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আহসানুল্লাহ।

প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যেও রাজস্ব খাতের অর্থ দিয়ে এসব প্রকল্প মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এ কাজ সরকার বন্ধ রাখেনি। আমরা প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সচেতনতা অবলম্বন করেছি। দেখতে চাই স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একনেকে অনুমোদন দেয়া প্রকল্পগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে। মূল্যায়ন কাজে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে তা যেন কার্যকর হয়।’ করোনার মধ্যেও সিপিটিইউ-এর কার্যক্রম এক সেকেন্ডের জন্যও বন্ধ ছিল না বলেও জানান তিনি। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ২৪ প্রকল্পের পিডি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রকল্প পরিচালকদের কারণে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

প্রকল্প পরিচালদের (পিডি) কারণে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত এক ওরিয়েন্টশন সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে বলেন, পিডিরা যারা এসেছেন, আপনাদের সম্পর্কে অনেক আলোচনা হচ্ছে বাজারে। আপনারা তো দেখেন। বোবা-কানা নন আমাদের মতো। তাই আপনাদের অনেক বেশি দায়িত্ব আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পিডি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা চলছে। এটাকে কীভাবে আরও বড় করা যায়, শক্তিশালী করা যায়, আপনাদের চলার পথে বাধাগুলো কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায় এগুলো চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা হয়তো নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসব, কিন্তু চাপিয়ে দেব না। আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। উভয়পক্ষে আলোচনা করব। সেভাবে কাজ করার প্রয়োজন আছে। নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে আপনারা গর্ববোধ করবেন। ডোন্ট ফিল সাই, ডোন্ট বি অ্যাফ্রেইড।

তিনি আরও বলেন, কাজ দ্রুত করতে হবে। ফাইল ফেলে রাখলে চলবে না। যথাসময়ে শ্রেষ্ঠ মেধা প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ না খেয়ে বা কম খেয়ে রাজস্ব জোগাচ্ছে। সেই টাকায় আমরা মোটামুটি ভালো আছি। কিন্তু আপনি যদি কাজটাই না করেন তাহলে তো কিছু হলো না। প্রকল্প যখন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় তখন গর্ববোধ করি। এডিপি ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পারলে গর্বিত হই।

প্রধানমন্ত্রীর সামনে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেও ভালো লাগে। সব কাজে আমাদের অবশ্যই ফেয়ার মনে থাকতে হবে। আমার কাছে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসে। পড়ে মনে হয় যেন আবেগে লেখেছে। আবেগে, রাগে, ক্ষোভে লিখেছে। তবু তার কথা শুনতে হবে। তখন বিধিমোতাবেক বিবেচনার জন্য প্রদীপের (আইএমইডি সচিব) কাছে পাঠাই, সিপিটিইউতে (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) পাঠাই। বিধিমোতাবেক আমরা যেন সবাইকে শুনি। আপনারা কাজ করেন।

অহেতুক কাজ কমাতে হবে। অহেতুক প্রশংসা কমিয়ে আনতে হবে। মাঝে মধ্যে ধুলিঝড় উড়ে, দৌঁড়ায় যায়। দিনটা ২৪ ঘণ্টা ধূলিঝড় ৫ মিনিট। ধূলিঝড় জীবন নয়। মাঝেমাঝে আমরা ধূলিঝড় দেখে থাকি। ধূলিঝড় থেকে সাবধান থাকব। ২০২০-২১ অর্থবছরের নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব গাজী সাইফুজ্জামান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আহসানুল্লাহ।

প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যেও রাজস্ব খাতের অর্থ দিয়ে এসব প্রকল্প মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এ কাজ সরকার বন্ধ রাখেনি। আমরা প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সচেতনতা অবলম্বন করেছি। দেখতে চাই স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একনেকে অনুমোদন দেয়া প্রকল্পগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে। মূল্যায়ন কাজে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে তা যেন কার্যকর হয়।’ করোনার মধ্যেও সিপিটিইউ-এর কার্যক্রম এক সেকেন্ডের জন্যও বন্ধ ছিল না বলেও জানান তিনি। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ ২৪ প্রকল্পের পিডি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।