শোলমারীর মোহনায় চর অস্তিত্ব সংকটে নদী

শুধুমাত্র একটা চর জেগে ওঠার কারণে ভরাট হতে চলেছে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শোলমারী নদী। খুলনা থেকে মংলাগামী কাজীবাছা নদী ও শোলমারী নদী মোহনায় অনেক দিন ধরে চর জেগে উঠছে। ইতোমধ্যে চর বিস্তৃত হয়ে শোলমারী নদীর গতিরুদ্ধ হতে চলেছে। শোলমারী থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা নদী পর্যন্ত প্রায় ৮০-৯০ কিলোমিটারব্যাপী শোলমারী নদীর পশ্চিমপাড় দিয়ে ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত। এসব উপজেলার বিলের পানি এই নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়ে থাকে।

কিন্তু শোলমারী নদী মোহনায় চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত কমে যাওয়ায় পলি জমে নদীর বেশিরভাগ এলাকা ভরাট হয়ে এখন হেঁটে পার হওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন বিলের স্লুইচ গেটের বাইরের মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি গেট দিয়ে নিষ্কাষিত হতে পারছে না। ফলে দু’পারের জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলহানিসহ বাড়িঘর তলিয়ে যায়।

চরটি ড্রেজিং করে অপসারিত করা হলে শোলমারী নদী ভরাটের গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার জনপদ জলাবদ্ধতার কবল থেকে যেমন একদিকে মুক্ত হতে পারে, অন্যদিকে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে ট্রলার-লঞ্চ চলাচলও করতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কেউ বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় নদী মুখ বন্ধ হয়ে দু’পাশের জনপদকে জলাবদ্ধতার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা যদি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চরটা অপসারণ করতেন তাহলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেত এবং শোলমারী নদীটি নাব্যতাও ফিরে পেত।

বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শোলমারীর মোহনায় চর অস্তিত্ব সংকটে নদী

এনায়েত আলী বিশ্বাস, বটিয়াঘাটা (খুলনা)

image

শুধুমাত্র একটা চর জেগে ওঠার কারণে ভরাট হতে চলেছে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শোলমারী নদী। খুলনা থেকে মংলাগামী কাজীবাছা নদী ও শোলমারী নদী মোহনায় অনেক দিন ধরে চর জেগে উঠছে। ইতোমধ্যে চর বিস্তৃত হয়ে শোলমারী নদীর গতিরুদ্ধ হতে চলেছে। শোলমারী থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা নদী পর্যন্ত প্রায় ৮০-৯০ কিলোমিটারব্যাপী শোলমারী নদীর পশ্চিমপাড় দিয়ে ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত। এসব উপজেলার বিলের পানি এই নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়ে থাকে।

কিন্তু শোলমারী নদী মোহনায় চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত কমে যাওয়ায় পলি জমে নদীর বেশিরভাগ এলাকা ভরাট হয়ে এখন হেঁটে পার হওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন বিলের স্লুইচ গেটের বাইরের মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি গেট দিয়ে নিষ্কাষিত হতে পারছে না। ফলে দু’পারের জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলহানিসহ বাড়িঘর তলিয়ে যায়।

চরটি ড্রেজিং করে অপসারিত করা হলে শোলমারী নদী ভরাটের গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার জনপদ জলাবদ্ধতার কবল থেকে যেমন একদিকে মুক্ত হতে পারে, অন্যদিকে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে ট্রলার-লঞ্চ চলাচলও করতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কেউ বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় নদী মুখ বন্ধ হয়ে দু’পাশের জনপদকে জলাবদ্ধতার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা যদি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চরটা অপসারণ করতেন তাহলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেত এবং শোলমারী নদীটি নাব্যতাও ফিরে পেত।

বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।