বিএডিসির সেচ লাইসেন্স পেতে হয়রানি : চাষাবাদে অনীহা চাষির

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) নানা রকম হয়রানির কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেচ লাইসেন্স পাচ্ছেন না মনিরামপুরের চাষিরা। সেচ লাইসেন্স না পেলে বৈদ্যুতিক মিটারের জন্য আবেদনও করতে পারছেন না তারা। জানা গেছে, আবেদনের এক বছর পার হলেও পাঁচ শতাধিক আবেদনে লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১৪৮টি। এসব কারণে চাষাবাদে অনেক কৃষক অনুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

কাশিপুর গ্রামের চাষি হান্নান হোসেন বলেন, আমার জমি আমি নিজে চাষ করব। কিন্তু আমার প্রতিবেশী তার বিদ্যুতচালিত শ্যালোমেশিন থেকে আমাকে পানি দিতে রাজি না। তার বোরিং থেকে আমার জমির দূরত্ব আট’শ ফুটের মধ্যে থাকায় আমি বিএডিসি’র লাইসেন্স পাইনি। সেজন্য সেচ মিটার নিতে পারিনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পৌরশহরের বিজয়রামপুরে তার ক্ষেতে শ্যালোমেশিন স্থাপন করা হয়েছে অনেক আগেই। বিএডিসিতে আবেদন করেও এখনও তিনি লাইসেন্স পাননি। লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আবার কত সময় লাগবে, তা নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।

মণিরামপুর বিএডিসি অফিসে লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য পাঁচ শতাধিক চাষি আবেদন করেছেন প্রায় বছরখানেক আগে। লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১৪৮টি।

বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনন্ত সাহা জানান, মণিরামপুরে এ পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ১৪৮ জনকে। বাকিদের লাইসেন্স দেয়ার জন্য সরেজমিন তদন্ত চলছে। লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং একটি থেকে অন্য বোরিং এর দূরত্ব সমস্যার কারণে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিএডিসির সেচ লাইসেন্স পেতে হয়রানি : চাষাবাদে অনীহা চাষির

প্রতিনিধি, মণিরামপুর (যশোর)

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) নানা রকম হয়রানির কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেচ লাইসেন্স পাচ্ছেন না মনিরামপুরের চাষিরা। সেচ লাইসেন্স না পেলে বৈদ্যুতিক মিটারের জন্য আবেদনও করতে পারছেন না তারা। জানা গেছে, আবেদনের এক বছর পার হলেও পাঁচ শতাধিক আবেদনে লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১৪৮টি। এসব কারণে চাষাবাদে অনেক কৃষক অনুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

কাশিপুর গ্রামের চাষি হান্নান হোসেন বলেন, আমার জমি আমি নিজে চাষ করব। কিন্তু আমার প্রতিবেশী তার বিদ্যুতচালিত শ্যালোমেশিন থেকে আমাকে পানি দিতে রাজি না। তার বোরিং থেকে আমার জমির দূরত্ব আট’শ ফুটের মধ্যে থাকায় আমি বিএডিসি’র লাইসেন্স পাইনি। সেজন্য সেচ মিটার নিতে পারিনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পৌরশহরের বিজয়রামপুরে তার ক্ষেতে শ্যালোমেশিন স্থাপন করা হয়েছে অনেক আগেই। বিএডিসিতে আবেদন করেও এখনও তিনি লাইসেন্স পাননি। লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আবার কত সময় লাগবে, তা নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।

মণিরামপুর বিএডিসি অফিসে লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য পাঁচ শতাধিক চাষি আবেদন করেছেন প্রায় বছরখানেক আগে। লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১৪৮টি।

বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনন্ত সাহা জানান, মণিরামপুরে এ পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ১৪৮ জনকে। বাকিদের লাইসেন্স দেয়ার জন্য সরেজমিন তদন্ত চলছে। লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতা এবং একটি থেকে অন্য বোরিং এর দূরত্ব সমস্যার কারণে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।