গৃহপালিত প্রাণীদের করোনা পরীক্ষা করবে দক্ষিণ কোরিয়া

গৃহপালিত প্রাণী বিড়াল ও কুকুরের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির রাজধানী সিউলের মেট্রোপলিটন সরকারের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এসব প্রাণীদের লক্ষণ থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা করানো হবে। বিবিসি

কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বিড়ালছানার দেহে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিউলের মেট্রোপলিটন সরকার জানিয়েছে, মালিকের করোনা শনাক্তের পর যেসব প্রাণীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরের সমস্যা দেখা দেবে শুধু তাদেরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। আর যেসব প্রাণীর দেহে ভাইরাস শনাক্ত হবে সেগুলোকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ইয়ো-মি জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত পোষা প্রাণীকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন মানুষ এবং পোষা প্রাণীর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

তবে প্রাণীর মালিক যদি অসুস্থতার কারণে দেখাশোনা করতে অক্ষম হন সেক্ষেত্রে আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানো যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত যেসব ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়ে না তাদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়।

তবে পোষা প্রাণী নিয়ে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ইয়ো-মি। বাইরে চলাফেরার সময়ে অন্যান্য মানুষ এবং প্রাণী থেকে অন্তত দুই মিটার দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

গৃহপালিত প্রাণীদের করোনা পরীক্ষা করবে দক্ষিণ কোরিয়া

বিনোদন প্রতিবেদক |

গৃহপালিত প্রাণী বিড়াল ও কুকুরের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির রাজধানী সিউলের মেট্রোপলিটন সরকারের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এসব প্রাণীদের লক্ষণ থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা করানো হবে। বিবিসি

কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বিড়ালছানার দেহে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিউলের মেট্রোপলিটন সরকার জানিয়েছে, মালিকের করোনা শনাক্তের পর যেসব প্রাণীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরের সমস্যা দেখা দেবে শুধু তাদেরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। আর যেসব প্রাণীর দেহে ভাইরাস শনাক্ত হবে সেগুলোকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ইয়ো-মি জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত পোষা প্রাণীকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন মানুষ এবং পোষা প্রাণীর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

তবে প্রাণীর মালিক যদি অসুস্থতার কারণে দেখাশোনা করতে অক্ষম হন সেক্ষেত্রে আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানো যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত যেসব ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়ে না তাদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়।

তবে পোষা প্রাণী নিয়ে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ইয়ো-মি। বাইরে চলাফেরার সময়ে অন্যান্য মানুষ এবং প্রাণী থেকে অন্তত দুই মিটার দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।