দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২২৯ জনের। নতুন শনাক্ত ৩৮৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৫ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৪২টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ২৭৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আটজনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে তিনজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন ও ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২২৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৩৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৫০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৮৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৫৮৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৪১৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১৬৯ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ২২৯ জনের। নতুন শনাক্ত ৩৮৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৫ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬২টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৪২টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ২৭৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আটজনের মধ্যে সাতজন পুরুষ, নারী একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে তিনজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন ও ৩১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২২৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৩৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ হাজার ৫০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৮৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ৫৮৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৪১৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১৬৯ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।