মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করছে নিউজিল্যান্ড

সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় মায়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সব ধরনের সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে মায়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নিউজিল্যান্ড সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক অবরোধও আরোপ করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এ ঘোষণা দেন। রয়টার্স

তিনি বলেন, মায়ানমারের সামরিক সরকার সুবিধা পেতে পারে, এমন কোন সহায়তা কর্মসূচিও সেখানে বাস্তবায়ন করবে না তার দেশ। এক সংবাদ সম্মেলনে আরডার্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই। আমরা বলতে চাই, ‘এখানে, নিউজিল্যান্ডে বসে যা যা করা সম্ভব, তার সবই আমরা করব। উচ্চপর্যায়ের সব আলোচনা আমরা স্থগিত করব। এমন কোন সাহায্য আমরা মায়ানমারকে দেব না, যেটা সামরিক সরকারকে সুবিধা দেবে।’ তিনি জানান, মায়ানমারের জান্তা সরকার লাভবান হয় নিউজিল্যান্ডের অর্থ সহায়তা খাতে এমন কোন প্রকল্প যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।

২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মায়ানমারকে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মায়ানমারের সেনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিউজিল্যান্ড স্বীকৃতি দেবে না বলে পৃথক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা। অং সান সু চিসহ মায়ানমারে বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মাহুতা বলেছেন, আসছে সপ্তাহে মায়ানমারের সেনাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কার্যকরে সম্মতি দিয়েছে তাদের সরকার।

নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত সপ্তাহে অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেতাদের বন্দী করে মায়ানমারে সামরিক শাসন জারি করে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ এবং জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সেনাদের রক্তচক্ষুর মুখেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মায়ানমারের জনগণ। অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন মায়ানমারের ক্ষমতায় বসা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, গত নভেম্বরে নির্বাচন মোটেও সুষ্ঠু ছিল না। নতুন করে নির্বাচন দেবেন তিনি। ক্ষমতা তুলে দেবেন নির্বাচিতদের হাতে। তবে আন্দোলনকারীদের দেখে নেয়ার সরাসরি কোন হুমকি দেননি সেনাপ্রধান হ্লাইং। বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

এছাড়া, জনরোষ নিয়ন্ত্রণে বড় বড় শহরগুলোতে কারফিউ আরোপ করা হয়েছে। পাঁচজনের বেশি জমায়েত না হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করছে নিউজিল্যান্ড

image

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মায়ানমারে আন্দোলন চলছে। শক্ত অবস্থানে নিরাপত্তা বাহিনী -রয়টার্স

সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় মায়ানমারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সব ধরনের সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে মায়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নিউজিল্যান্ড সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক অবরোধও আরোপ করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এ ঘোষণা দেন। রয়টার্স

তিনি বলেন, মায়ানমারের সামরিক সরকার সুবিধা পেতে পারে, এমন কোন সহায়তা কর্মসূচিও সেখানে বাস্তবায়ন করবে না তার দেশ। এক সংবাদ সম্মেলনে আরডার্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই। আমরা বলতে চাই, ‘এখানে, নিউজিল্যান্ডে বসে যা যা করা সম্ভব, তার সবই আমরা করব। উচ্চপর্যায়ের সব আলোচনা আমরা স্থগিত করব। এমন কোন সাহায্য আমরা মায়ানমারকে দেব না, যেটা সামরিক সরকারকে সুবিধা দেবে।’ তিনি জানান, মায়ানমারের জান্তা সরকার লাভবান হয় নিউজিল্যান্ডের অর্থ সহায়তা খাতে এমন কোন প্রকল্প যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।

২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মায়ানমারকে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মায়ানমারের সেনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিউজিল্যান্ড স্বীকৃতি দেবে না বলে পৃথক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা। অং সান সু চিসহ মায়ানমারে বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মাহুতা বলেছেন, আসছে সপ্তাহে মায়ানমারের সেনাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কার্যকরে সম্মতি দিয়েছে তাদের সরকার।

নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত সপ্তাহে অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেতাদের বন্দী করে মায়ানমারে সামরিক শাসন জারি করে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ এবং জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সেনাদের রক্তচক্ষুর মুখেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মায়ানমারের জনগণ। অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন মায়ানমারের ক্ষমতায় বসা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, গত নভেম্বরে নির্বাচন মোটেও সুষ্ঠু ছিল না। নতুন করে নির্বাচন দেবেন তিনি। ক্ষমতা তুলে দেবেন নির্বাচিতদের হাতে। তবে আন্দোলনকারীদের দেখে নেয়ার সরাসরি কোন হুমকি দেননি সেনাপ্রধান হ্লাইং। বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

এছাড়া, জনরোষ নিয়ন্ত্রণে বড় বড় শহরগুলোতে কারফিউ আরোপ করা হয়েছে। পাঁচজনের বেশি জমায়েত না হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।